আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ফিফা ২০২৬ বিশ্বকাপের এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্ব। ফিফা র্যাংকিংয়ে প্রায় তলানিতে থাকার কারণে বাংলাদেশ দলকেও প্রথম রাউন্ড থেকে বাছাইপর্বে অংশ নিতে হবে। প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ।
মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগামীকালের ম্যাচটি এওয়ে ম্যাচ। মালদ্বীপ স্বাগতিক হওয়ার দরুণ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে তারা এগিয়ে থাকবে। তবে মাঠের লড়াইয়ে ভালো করতে পারলে জয় পাবে বাংলাদেশ। গত সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে শেষবার মালদ্বীপের মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে মালদ্বীপকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিলো বাংলাদেশ। তাই আগামীকাল এই সুখকর স্মৃতি বাংলাদেশের জন্য আত্মবিশ্বাস হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররার মতে অতি আত্মবিশ্বাসী হওয়া যাবে না। তিনি নিজের দলের প্রতি আস্থা রাখার পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে সমীহের চোখে দেখছেন।
তিনি বলেন,
“প্রতিপক্ষকে ভালোভাবেই চিনি। মালদ্বীপের সঙ্গে অতি-আত্মবিশ্বাসী হলে ঝামেলা হতে পারে। এইজন্য আমরা সচেতন আছি। তারা কতটা সামর্থ্য রাখে ভালো করেই জানি। কালকের ম্যাচ নিয়ে নিজেদের ওপর আস্থা থাকলেও সতর্ক থাকছি। মালদ্বীপ দলের প্রতি যথেষ্ট সম্মান আছে। আমরা কাল এগিয়ে যেতে চাই।”
বিগত ম্যাচগুলোতে ক্যাবররার অধীনে ভালো করেছে বাংলাদেশ। গত আফগানিস্তান সিরিজে নতুন এক বাংলাদেশকে সবার সামনে তুলে ধরেছিলো ক্যাবররা। এছাড়া এশিয়ান গেমসে বয়সভিত্তিক দলের দায়িত্ব নিয়ে ইতিবাচক ফলাফল না দেখাতে পারলেও দলকে লড়াইয়ের মানসিকতার দীক্ষা দিয়েছেন এই স্প্যানিশ গুরু। তবে আগামীকালকেই ম্যাচ নিয়ে তিনি খুব সাবধানী। অন্য কোনো ম্যাচের সাথে আগামীকালকের ম্যাচকে তুলনায় আনছেন না। তিনি বলেন,
“অন্য সব টুর্নামেন্টের সঙ্গে এই বিশ্বকাপ বাছাইকে এক করলে হবে না। এটি সম্পূর্ণ আলাদা প্রতিযোগিতা এবং গুরুত্ববহ। আমরা এই ম্যাচে অত্যন্ত সাবধানী হয়ে খেলব।”
মদকান্ডে জড়িত থাকায় আগামীকালের ম্যাচে বাংলাদেশের জার্সিতে আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মন এবং শেখ মোরসালিনকে দেখা যাবে না। তাদের জায়গা স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন কিছু নতুন মুখ। অভিজ্ঞ তিনজনকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলে, নতুনদের নিয়ে আশাবাদী বক্তব্য দিয়েছেন ক্যাবররা। তার মতে,
“আফগানিস্তান ও এশিয়ান গেমসে খেলা অনেকে নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে। বাছাইপর্বে খেলতে তারা প্রস্তুত। এই দল নিয়েই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।”