বসুন্ধরা কিংসের প্রাণভোমরা ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রবসন রবিনহোকে নিজেদের দলে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারতের ক্লাব ইস্ট বেঙ্গল। ভারতীয় গনমাধ্যম আজতাক একটি প্রতিবেদনে এমনটাই প্রকাশ করেছে। এই নিয়ে বসুন্ধরা কিংসের সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।

চলতি মৌসুমে ভালো দল গড়তে না পারলেও আসন্ন মৌসুমে নিজেদের শক্তিশালী করতে চায় ভারতের ক্লাব ইস্ট বেঙ্গল। চলতি মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই তাই নতুন খেলোয়াড়দের দলে নিতে নিজেদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ক্লাবটি। তাই বাংলাদেশের লিগের সেরা খেলোয়াড় রবসন রবিনহোর দিকে নজর পড়েছে তাদের। সর্বশেষ এএফসি কাপে দূর্দান্ত পারফর্ম করে নিজের জাত চেনাতে ভুল করেননি রবসন। ইস্টবেঙ্গলের প্রধান প্রতিপক্ষ মোহন বাগানকে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে রবসনের দল বসুন্ধরা কিংস। ভারতে হওয়া ম্যাচটি ২-২ গোলে শেষ হয়, যেখানে রবসন একটি গোল করেন। বাংলাদেশে হওয়া ম্যাচটি বসুন্ধরা কিংস ২-১ ব্যবধানে জয় লাভ করে, এই ম্যাচেও একটি গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।

ভারতের গণমাধ্যমটির সূত্র মতে, বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগে বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনীর মধ্যকার ম্যাচটি দেখতে নিজেদের প্রাক্তন ফুটবলার আলভিটো ডি কুনহাকে পাঠাবে।  সেই ম্যাচে রবিনহোর খেলা দেখার পাশাপাশি প্রাথমিক প্রস্তাব আলভিটো দিবেন বলে জানানো হচ্ছে। রবিনহোকে দলে ভেড়াতে ছয় কোটি রুপির উপরে খরচ করতে হবে দলটিকে এমনটাও প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে রবসন কি ভারতের পথ ধরবেন? এমন শঙ্কা বসুন্ধরার সমর্থকদের থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছুটা স্বস্তি হয়ে আছে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে রবসনের বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জোড়ানোর ইচ্ছা নিয়ে তার কথাগুলো। আর এক মৌসুম বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে খেললেই তিনি বাংলাদেশের জাতীয়তা পেতে আবেদন করতে পারবেন। এরপর সকল জটিল প্রক্রিয়াগুলো ঠিকঠাক হলে হয়তো লাল-সবুজের জার্সিতে রবসনের সবুজ গালিচায় বল নিয়ে কারু কাজ আমরা দেখতেই পারি। তিনি আগে বলেছিলেন,

‘সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একজন ফুটবলারের জন্য একটা জাতীয় দলে খেলা। এটাই সবচেয়ে বড় ইচ্ছা। যদি আমি এখানে পাঁচ বছর থাকি তবে অবশ্যই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাই। পাঁচ বছর থাকার পর যদি সুযোগ হয় কেন খেলবো না?’

এক্ষেত্রে বড় স্বস্তির নাম রবসনের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। এর আগে এলিটা কিংসলেকেও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করেছে ক্লাবটি। কিংস সভাপতি ইমরুল হাসানও পূর্বে জানিয়েছিলেন রবসনকে সহযোগীতা করার কথা,

‘আমাদের ইচ্ছা আছে ওর সাথে চুক্তিটা বাড়িয়ে নেয়ার। আমাদের তরফ থেকে আমরা রবসনকে অনুপ্রাণিত করবো যাতে সে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলে এবং তার সাথে আমরা যতটুকু কথা বলে বুঝেছি সেও আগ্রহী।’

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রবসন বাংলাদেশ ছেড়ে গেলে অবাকই হতে হবে। এছাড়াও নিজেদের সেরা তারকাকে ধরে রাখতে ইস্ট বেঙ্গল থেকে কোন অংশেই কম টাকা ছড়াবে না কিংস। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের দলটি অবশ্যই ভারতের ক্লাবটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ঘর সামলাবে। তবে পেশাদার ফুটবলারদের দল বদলানো একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে রবসনের থাকার বিষয়ে কাজ করতে পারে লাল-সবুজ জার্সিতে জাতীয় দলে খেলার সুপ্ত ইচ্ছা।

Previous articleএলিটের বড় জয়ের দিনে নোফেল-ফকিরেরপুল ম্যাচ ড্র
Next articleঈদের শুভেচ্ছা জানালো দেশের ফুটবল ক্লাবগুলো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here