রবসনের একমাত্র গোলই অবশেষে হয়ে উঠলো বসুন্ধরা কিংসের তিন পয়েন্ট পাওয়ার মাধ্যম। প্রিমিয়ার লীগের ষষ্ঠ রাউন্ডে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে মাঠে নামে বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচটি দুইদলেরই হোম ভেন্যু বসুন্ধরা কিংস এরেনাতে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ এক সুযোগ পায় বসুন্ধরা কিংস। মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পাস থেকে বল পেয়ে যায় রবসন। রবসন বক্সের বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকে জটলার মধ্য থেকে কিংসলে বল পাস করেন। কিংসলে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডানপায়ে শট করেন। কিন্তু কর্ণারের বিনিময়ে সে যাত্রায় শেখ রাসেলকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।

৩৫ মিনিটে শেখ রাসেল মাঝমাঠের নিচ থেকে এলটন মাসাদাওর পাসে ইসমাইল রুডি বল পেয়ে বসুন্ধরার ডিফেন্ডার রিমন আহমেদকে পাশ কাটিয়ে মাঠের বামপ্রান্ত থেকে উপরে উঠে আসেন। উপরে উঠে এলটন মাসাদাওর উদ্দেশ্য বলকে রিলিজ করে দেন রুডি। মাসাদাও বল পেয়ে বসুন্ধরার দুইজনের মধ্যে দিয়ে ভালো থ্রু বল বাড়ান, উদ্দেশ্য ছিলো শেখ রাসেলের ব্রাজিলিয়ান ফিডমিল্ডার থিয়াগো আমিরাল। কিন্তু বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো নিজের জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে বলকে লুফে নেন।

প্রথমার্ধের খেলা এভাবেই গোল শূন্য ড্র রেখে বিরতিতে যায় উভয় দল। গোল শূণ্যের স্কোরলাইন ভাঙ্গে ম্যাচের ৮০ মিনিটে এসে। পেনাল্টি থেকে ম্যাচের প্রথম ও একমাত্র গোলটি করেন বসুন্ধরার রবসন। ইব্রাহিমের থেকে বল পেয়ে দ্রুত বক্সের ভেতরে ঢুকে যায় রবসন। কিন্তু তাকে বক্সের ভেতরে বাধা দিতে গিয়ে ফাউল করে বসে শেখ রাসেলের ডিফেন্ডার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। এতে পেনাল্টি দেন রেফারি। পেনাল্টিতে স্পট কিক থেকে গোল আদায় করে নেন রবসন।

ফলে একগোলের পুঁজিতে ম্যাচে জয় পায় বসুন্ধরা কিংস। এ জয়ে ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক হারের ফলে পনেরো পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস। অন্যদিকে সমান ম্যাচে এক জয়, দুই ড্র ও দুই হারের বিনিময়ে পাঁচ পয়েন্টে নিয়ে তালিকার আটে আছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

অন্যম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। দুইটি গোলই হয়েছে ম্যাচের প্রথমার্ধে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে সলেমন কিং গোলকে গোলকে এগিয়ে দেন। তবে প্রথমার্ধেই ম্যাচে সমতায় ফিরে যায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ইঞ্জুরি টাইমে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মালিয়ান ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান।

দ্বিতীয়ার্ধে স্কোরলাইনে পরিবর্তন না আসলে ড্র দিয়েই শেষ হয় ম্যাচ। ড্রয়ের ফলে ছয় ম্যাচে বারো পয়েন্ট নিয়ে ৩য় স্থানে আছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। অন্যদিকে সমান ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামালের থেকে দুই ধাপ নিচে অবস্থান করছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

Previous articleএবার রেফারি সংকটে বিপিএল!
Next articleবাজে রেফারিংয়ের প্রতিবাদ করে জরিমানার মুখে ক্রুসিয়ানি!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here