শেষ দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের সেমি ফাইনালে পৌঁছেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। আজ (মঙ্গলবার) মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে রহমতগঞ্জকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু শিষ্যরা।

শেখ রাসেলের জয়ের সঙ্গে এবারের ফেডারেশন কাপের সেমি ফাইনালের লাইনআপও চূড়ান্ত হলো। আগামী ৯ মে প্রথম সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শেষ চারের অপর ম্যাচে ১৬ মে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে খেলবে শেখ রাসেল।

রহমতগঞ্জের বিপক্ষে নামে ভারে এগিয়ে থাকলেও, মাঠে সেটার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি শেখ রাসেল। তারপরও ম্যাচের ১৪তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় তারা। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফন উদোহ বল বাড়িয়ে দেন স্বদেশী কেনেথ ইকেচুকুর উদ্দেশ্যে, আর পোস্টের সামনে বল পেয়ে বুদ্ধিদ্বীপ্ত ফ্লিকে জাল খুঁজে নিতে ভুল করেননি তিনি। ৩১তম মিনিটে চার্লস দিদিয়েরের লং পাস ধরে বক্সে ঢুকলেও মোহাম্মদ ইব্রাহিম পারেননি ঠিকঠাক শট নিতে। এরপর বক্সে বল পেয়ে কেনেথ ইকেচুকুও পারেননি বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে। শেষ পর্যন্ত বল যায় জামাল ভূঁইয়ার পায়ে, কিন্তু তার ভলি যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। এরপর প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে রহমতগঞ্জের উলিসে দিয়ালো হেডে জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোল।

দ্বিতীয়ার্ধে শেখ রাসেল ডিফেন্ডার আবিদ হোসেনের লাল কার্ড নিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায়। ৫৫তম মিনিটে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে ধাক্কা দিয়ে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন আবিদ। এর মিনিট তিনেক পর আল আমিনকে অহেতুক ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে শেখ রাসেলকে ১০ জনের দলে পরিণত করে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর শেষ রাসেলের বিপক্ষে কিছুটা দাপট দেখায় পুরান ঢাকার জায়ান্টরা। কিন্তু কাজের কাজ যে গোল, সেটিই করতে পারেনি তারা। ফলে শেষ পর্যন্ত একই স্কোরলাইন বজায় থাকলে ১-০ গোলের জয়ে শেষ চারে পৌঁছে যায় শেখ রাসেল। আর হারের হতাশার সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই এবারের ফেডারেশন কাপ মিশন শেষ করে রহমতগঞ্জ।

Previous article১৮ ক্যারেট সোনার ট্রফির জন্য ‘অস্ত্র’ দিয়ে সুপার লিগে খেলবে মেয়েরা!
Next articleবেফাঁস মন্তব্যের পর ক্ষমা চাইলেন কাজী সালাউদ্দিন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here