জায়ান্ট কিলার হিসেবে বাংলার ফুটবলে বেশ সুনাম রয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির। তবে ২০২২-২৩ মৌসুমটা একেবারেই ভালো যায়নি পুরান ঢাকার জায়ান্টদের। ১১ দলের মধ্যে ৯ম স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছে তারা। তাইতো নতুন মৌসুমে ঘুরে দাঁড়াতে চায় রহমতগঞ্জ। আর সে লক্ষ্যে গত মৌসুমে খেলা সব বিদেশি ফুটবলারদের ছেড়ে দিয়ে নতুন ৫ বিদেশি ফুটবলার দলে ভিড়িয়েছে তারা।
৩ আফ্রিকান ফুটবলারের সঙ্গে ২ এশিয়ান ফুটবলার আসছে ২০২৩-২৪ মৌসুমে রহমতগঞ্জের হয়ে মাঠ মাতাবেন। আসছে মৌসুমে রহমতগঞ্জের আক্রমণভাগের মূল দায়িত্ত্বে থাকছেন ঘানার স্ট্রাইকার এর্নেস্ট বোয়াটেং। ২২ বছর বয়সী তরুণ এই স্ট্রাইকার গত মৌসুমে খেলেছেন আই লিগের ক্লাব রিয়েল কাশ্মিরে, ক্লাবটির হয়ে ৯ ম্যাচে করেছেন ৩টি গোল। এর আগে ঘানা ও স্লোভাকিয়ার টপ টায়ারে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
আক্রমণভাগে তার সঙ্গী হচ্ছেন স্বদেশী উইঙ্গার স্যামুয়েল মেন্সাহ কোনে। ২৮ বছর বয়সী স্যামুয়েল গত মৌসুমে খেলেছেন ভারতের আই লিগের ক্লাব গোকুলাম কেরালায়। আক্রমণভাগে বলের যোগান দিতে পুরনো সৈন্য দাওদা সিসেকে ফিরিয়ে এনেছে রহমতগঞ্জ। এর আগে ২০১৭-১৮ মৌসুমে অর্ধেক মৌসুম রহমতগঞ্জের জার্সিতে খেলে গিয়েছিলেন তিনি। গাম্বিয়ার অ-২০ ও অ-১৭ দলে খেলা ৩০ বছর বয়সী সিসে সবশেষ খেলেছেন ভিয়েতনামের ক্লাব বিন দুয়ং এফসিতে। এর আগে বাংলাদেশের ফেনী সকার ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, ভারতের চার্চিল ব্রাদার্স, মোহনবাগান, পাঞ্জাব এফসি ও দিল্লি এফসি এবং সৌদি আরবের ক্লাব আল সাদে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
রক্ষণে দুই উজবেক ফুটবলারকে দলে ভিড়িয়েছে রহমতগঞ্জ। উজবেকিস্তানের অ-১৯ ও অ-২০ দলে খেলা ইখতিয়র তশপুলাতভ রহমতগঞ্জের রক্ষণ সামলানোর মূল দায়িত্ব পালন করবেন। উজবেকিস্তানের ঘরোয়া ফুটবলে প্রায় ২০০ এর কাছাকাছি ম্যাচ খেলা ৩০ বছর বয়সী এই ফুটবলার খেলতে পারেন মিডফিল্ড এবং আক্রমণভাগেও। তার সঙ্গে স্বদেশী ইস্কান্দার সিদ্দিকজনভকে দলে ভিড়িয়েছে রহমতগঞ্জ। ২৮ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার উজবেকিস্তানের টপ টায়ার ও কাজাখস্তানের সেকেন্ড টায়ারে খেলেছেন।