আরেফিন জিসান: শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দূর্দান্ত খেলে শক্তিশালী ভারতকে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ দল। তাই আজ তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে উজ্জ্বীবিত জামাল-তপুরা। ঠিক ততটাই আগ্রহ নিয়ে দলের জয় দেখতে চায় বাংলাদেশী ফুটবলপ্রেমীরা। সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষদের নিয়ে অফসাইডের ‘রাইভাল ওয়াচ’ প্রতিবদনে আজ আলোচনা হবে মালদ্বীপকে নিয়ে-
মালদ্বীপ
সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের পাঁচ বারের ফাইনালিস্ট, দুই বারের চ্যাম্পিয়ন এবং সর্বশেষ আসরে ট্রফি নিয়ে গেছে ঢাকা হতেই। ১৯৯৭ সাল থেকে টানা দশ আসরে নক পর্বে কোয়ালিফাই করা দল মালদ্বীপ। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের মতো প্রথম আসরে অংশ নেয় নি। এতেই বোঝা যায় সাফে সফলতার সাথে এগিয়ে চলছে দ্বীপ রাষ্ট্রটির পথচলা। তবে এবারে স্বাগতিক হয়েও উদ্বোধনী ম্যাচে নেপাল কাছে হেরে শংকায় পড়ে গেছে তাদের ফাইনাল খেলা। ওইদিকে বাংলাদেশও আছে দুর্দান্ত ফর্মে।
কোচ আলী সুজেন দেশটির ফুটবলে অন্তত পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য। ঘরোয়া ফুটবলে সবকিছুই জিতেছে সে। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের দায়িত্ব পেলো সুজেন। মালদ্বীপে কাজ করা বাংলাদেশের কোচ অস্কার ব্রুজনকেও ভালোভাবেই চেনা আছে তার।
নেপালের বিপক্ষে হারবার দরুণ বাংলাদেচশের বিপক্ষে ৪-৩-৩ ফরমেশনে কোচ সুজেন আক্রমণভাগে কিছু পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইব্রাহিম মাহুদে’কে সেন্টার এটাকিং মিডফিল্ডে দিয়ে রাইট উইংয়ে নাইজ হাসান আসতে পারে। আলী ফাসিরকে সরিয়ে হামজা মোহাম্মদকে মিডফিল্ড থেকে উপরে লেফট উইংয়ে দেখা যেতে পারে। এছাড়া স্ট্রাইকাট হিসেবে থাকছে দক্ষিন এশিয়ার কিংবদন্তি ও গোল মেশিন আলী আশফাক। এই চতুষ্তয়ের সম্মিলিত আন্তর্জাতিক গোল ৭৭ টি। বেঞ্চে তখনো আছে মাহুদে ও আসাদুল্লাহ আবদুল্লার মতো ফরোয়ার্ড।
ভারতের উইঙ্গারদের মতো তারা উইংয়ে কর্ণার ফ্ল্যাগ থেকে স্পেচ নেবার চেয়ে বল নিয়ে ভেতরে ঢুকতে বেশী পছন্দ করে। তবে মালদ্বীপের মিডফিল্ডার এবং ডিফেন্ডাররা ধীর গতির যা আমাদের দ্রুত গতির ফরোয়ার্ডের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জেই পড়তে যাচ্ছে। আমাদের মতিন, সাদ এবং একটা পর্যায়ে বিপলু যেভাবে খেলছে তাতে তাদের নিজেদের প্রতি অবিচার হবে, যদি ওপেন প্লে থেকে গোল আনতে না পারে। রাকিবের না থাকা অবশ্যই একটা ধাক্কা তবে সুফিল আসলে খারাপ হবে না। শোনা যাচ্ছে ইব্রাহিমকে রাকিবের জায়গায় দিয়ে মিডফিল্ডে সোহেল আসবে। এটা ভালো হবে, ইব্রাহিম লেফট উইংয়ে যোগ্য এবং সোহেল থাকতে মিডফিল্ডের হোল্ডিং প্লে ভালো হবে৷ তবে আমি এখনো সুফিলের পক্ষেই থাকবো। আক্রমণভাগে সে ইব্রাহিমের চেয়ে অধিকতর ক্লিনিকাল এবং ডিসিশন মেকিংয়ে ভালো৷ সাফের আগে জাতীয় দলে তার সর্বশেষ ৬ ম্যাচে ৩ গোল ছিলো।
মালদ্বীপের আক্রমণভাগ অন্তত শক্তিশালী তবে আমাদের ডিফেন্সের দিকে তাকালে ভরসা পাওয়া যাবে নিশ্চিতভাবেই। বিশ্বনাথের না থাকা তেমন ভোগাবে না, রহমত আসতে পারে একাদশে৷ তবে তারিককে তার রাইট ব্যাক পজিশন দিয়ে তপুর সাথে সেন্টারে বাদশা বা রাফিকে আনলে খুব ভালোই হবে। সেন্টার ব্যাকে তারিক তেমন অসাধারণ কিছু করছে না বা করার সুযোগ পাচ্ছে না, কেননা ঐটি তার ন্যাচরাল পজিশন নয়। বরং তারিকের ফ্ল্যাঙ্ক থেকেই দল নিরাপদে থাকবে। তারিকও তার আসল পজিশনে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে। তার থেকে ভালো বিল্ডয়াপ ও ওভারলেপ পাওয়া যাবে। যা আগেই বলা হয়েছে, মালদ্বীপের ডিফেন্ডাররা তুলনামূলক ধীর গতির, তাই বাংলাদেশের উইং ব্যাকরা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।