মেয়েদের পর এবার বাংলাদেশের ছেলেরাও পেয়েছে জয়। ফিফা উইন্ডোতে ‘ফিফা টায়ার-১’ আন্তজার্তিক প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়া জাতীয় ফুটবল দলের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সেই ম্যাচে স্বাগতিক কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে পরাজিত করে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ১৯ মিনিটের বক্সের বাইরে থেকে কম্বোডিয়ান মিডফিল্ডার সিন কাকাদার নেওয়া ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শট লাফিয়ে উঠে সেভ করে দলকে গোল হজমের থেকে রক্ষা করেন বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ২৩ মিনিটের মাথায় রাকিব হোসেনের গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ। মাঝমাঠের নিচ থেকে মতিন মিয়া নিজে একাই টেনে নিয়ে গিয়ে বল পাস দেন রাকিব হোসেনের কাছে। রাকিব বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে ডান পায়ের শট নিয়ে গোলটি করেন তিনি।
৭৪ মিনিটের গোলবারের জন্যে গোল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ দল। মাঝমাঠ থেকে ইয়াসিন আরাফাতের ফি-কিক থেকে মাঠের বামপ্রান্তে বল পায় মতিন মিয়া। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষের একজনকে বাঁক কাটিয়ে জায়গা করে দূরবর্তী শট করেন মতিন। কিন্তু বলটি গোলবারে লাগলে লিড দ্বিগুণ করতে পারে না বাংলাদেশ দল। ৭৬ মিনিটে কম্বোডিয়ার ম্যাচে সমতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ ঠেকিয়ে দেন আনিসুর রহমান জিকো। কম্বোডিয়া দলের মিডফিল্ডার কাউচ দানি পা দিয়ে বলকে আলতো করে দিলে দলের আরেক মিডফিল্ডার নিকোলাস টেইলর সুযোগ পেয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে হেড করে করে, কিন্তু গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর বিশ্বস্ত হাতজোড়া হেড থেকে গোল হতে দেন নি।
ম্যাচের শেষ সময়ে লিড বাড়ানোর দারুণ এক সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় সাজ্জাদ হোসেন বক্সের সামনে নিজের ড্রিবলিংয়ের ভেল্কিবাজি দেখিয়ে পা থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে কাউন্টার এটাক থেকে পাওয়া বাংলাদেশের লিড দ্বিগুণের সহজ সুযোগটি হাতছাড়া হয়। এতে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে জয় পায় হাভিয়ার ক্যাবররার শিষ্যরা।