আবারো হতাশায় শেষ হলো আরো একটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল আসর থেকে আবারো ফাইনালে উঠতে না পারার হতাশা নিয়েই বিদায় নিলো বাংলাদেশ। ৫ দলের সাফ থেকে ৪র্থ স্থানে থেকে বিদায় নেওয়াটা ঠিক যেনো মেনে নিতে পারছেন না ফুটবলাররাসহ টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা। বাংলাদেশের সার্বিক পারফরম্যান্সও এতোটা বাজে ছিলো না যে সাফের ফাইনাল খেলতে পারবে না। বাংলাদেশের ফাইনাল না খেলার পেছনে ফুটবলার, দর্শকসহ সবার কাছেই অন্যতম কারণ এবারের আসরের বাজে রেফারিং। নেপালকে দেওয়া পেনাল্টি নিয়ে রেফারিকে দুষছেন সবাই।
খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরাও নানাভাবে ফুটেজ দেখছেন। ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু রেফারিকে ভিন্নভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন, ‘প্রথমত এটা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। ফুটবলের আইনে ফাউলের মধ্যে পড়ে না সেটি। আমরা দেখেছি বল হেড করার জন্য লাফিয়েছিলেন সাদ। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে কার্ড দিয়েছেন বিশ্বনাথকে।’
বিশ্বনাথকে কার্ড দেওয়ার বিষয়টি রেফারির সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করেন রুপু, ‘রেফারি কিছুটা দূরে ছিলেন। তিনি বিষয়টি ভালোভাবে দেখেননি এর প্রমাণ বিশ্বনাথকে কার্ড দেওয়া।’
বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে সেটা মাথায় রেখে ফিরতি টিকেট ১৭ অক্টোবর করেছিল বাফুফে। কিন্তু ফাইনালে উঠতে না পারায় আগামীকাল ও পরশু খেলোয়াড়দের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বাফুফে, ‘আমরা মালদ্বীবিয়ান এয়ারলাইনসে এসেছি। সেই এয়ারলাইনসে ১৭ তারিখের আগের ফ্লাইট ১৫। ওই দিন সিট খালি নেই। অন্য এয়ারলাইন্সে ১৮ তারিখের আগে সিট নেই। ফলে ১৭ তারিখ সকালেই আমরা দেশে ফিরব।’
গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো দ্রুত দেশে ফিরে যেতে চান, ‘এখানে আর এখন ভালো লাগছে না। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে সবার মন খারাপ।’দ্রুত মালদ্বীপ ছাড়তে চান বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজনও। তিনি হোটেলে টিকিট নিয়ে এয়ারলাইনস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন বিশেষভাবে।তবে ১৭ তারিখের আগে আর দেশে ফেরা হচ্ছে না জামাল-তপু-জিকোদের।
তবে বাজে রেফারিং ছাড়াও আরো একটি দুঃসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। নেপালের ফুটবলারের সাথে বল দখলের লড়াইয়ে মুখে আঘাত পাওয়া বিপলু আহমেদের ৩টি সেলাই লেগেছে। তবে শঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসক।