আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটান অংশ নিচ্ছে এই আসরে। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি দল খেলবে ৩টি করে ম্যাচ এবং সেরা দুই দল খেলবে ফাইনাল। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ।
আজ বাফুফে ভবনে এই টুর্নামেন্টের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করেছে বাফুফে। ঘরের মাঠে খেলা বলে দল নিয়ে দারুন আশাবাদী হেড কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘এই দলটায় অনেকে আছে, যারা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। বেশিরভাগের আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা আছে। তাই আমি মনে করি, এই টুর্নামেন্টেও আমাদের মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলবে।’
এবারের আসরে বাংলাদেশের বড় বাঁধা হতে পারে ভারত। গত বছর অনূর্ধ্ব -১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ খেলা দলের অধিকাংশ ফুটবলার নিয়েই দল গড়েছে তারা। নেপাল ও ভুটানকেও কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখছেন বাংলাদেশ কোচ। তারপরও ঘরের মাঠে খেলা বলে নিজেদেরই ফেভারিট হিসেবে মানছেন ছোটন, ‘আমাদের দল সবসময় ফেভারিট হিসেবে খেলে থাকে। আমাদের লক্ষ্য ফাইনালে খেলা, ম্যাচ ধরে ধরে খেলব আমরা। দেশের মাটিতে আমরা সবসময় ফেভারিট হিসেবে খেলে থাকি।’
কদিন আগেই শেষ হওয়া নারী ফুটবল লিগে ২৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া আকলিমা খাতুনের কাধেঁ থাকছে আক্রমণভাগের মূল দায়িত্ব। লিগে নিয়মিত গোল করায় তাকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ কোচ, ‘আকলিমা এরই মধ্যে লিগে নিজেকে প্রমাণ করেছে। ২৫ গোল করেছে। সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিল। গত বছর জামশেদপুরে আমরা যে টুর্নামেন্ট খেলেছি, সেখানেও কিন্তু ভারত ও নেপালের বিপক্ষে তার গোল আছে। তখন কিন্তু একেবারেই তরুণ ছিল সে। তারপরও প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে নেমে গোল করেছিল। আমি মনে করি, লিগের ২৫ গোল করা এই টুর্নামেন্টের জন্য তার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।’
বাংলাদেশ দল:
রুপনা চাকমা, ইতি রানী, সাথী বিশ্বাস, সুরমা জান্নাত, আফিদা খন্দকার, নাসরিন আক্তার, কোহাতি কিসকু, ইতি খাতুন, উন্নতি খাতুন, স্বপ্না রানী, সোহাগী কিসকু, মাহফুজা খাতুন, নোশন জাহান, রুপা, রেহেনা আক্তার, শামসুন্নাহার, হালিমা আক্তার, শাহেদা আক্তার রিপা, আকলিমা খাতুন, আনিকা তাঞ্জুম, আইরিন খাতুন, আফরোজা খাতুন ও সুরভী আকন্দ প্রীতি।