দেশের ঘরোয়া ফুটবল বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ, পাইওনিয়ার লিগসহ বয়সভিত্তিক দল এমনকি নারী দলেরও অনুশীলনের মূল ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম। তবে বিরতিহীন ব্যবহারে এই মাঠের টার্ফ খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ টার্ফে খেলে ইনজুরিতে পড়ছেন খেলোয়াড়রা। তবে সুখবর মিলেছে। ফিফার অর্থায়নে টার্ফ প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি আধুনিকায়নও হবে কমলাপুর স্টেডিয়াম। একইসঙ্গে আধুনিকায়ন করা হবে বাফুফে মাঠকেও।
ফিফার অর্থায়নে কমলাপুর স্টেডিয়াম ও বাফুফে ভবন সংলগ্ন টার্ফ প্রতিস্থাপনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে আগেই ফুটবল ফেডারেশনের আনুষ্ঠানিকতা আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এবার ফিফার কনসালটেন্ট ডিরেক্টর এরিক হ্যারিসন বাংলাদেশ সফরে এসে দুই মাঠই পরিদর্শন করে গিয়েছেন। টার্ফ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে তিনি বলেছেন,
“সবকিছুরই মেয়াদ থাকে। এই টার্ফটি (বাফুফে মাঠ) খুব পুরনো। পরিবর্তনের সময় এসেছে। দুইটি ভেন্যুই আমি দেখলাম। ফেডারেশনের কিছু প্রস্তাব আছে। সেগুলো সহ রিপোর্ট প্রস্তুত করার পর বাকি অগ্রগতি জানা যাবে।”
টার্ফ প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি এই দুই মাঠ আধুনিকায়নের জন্য ফিফাকে প্রস্তাব দিয়েছে বাফুফে। মাঠের চারপাশে বেষ্টনী, টয়লেটসহ মাঠ পরিচর্যার জন্য স্প্রিংলার সিস্টেম চেয়েছে বাফুফে। বাফুফে আশা জুনের মাঝামাঝি বা এরপরে সংস্কার কাজ শুরু হতে পরে।