ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। গোলের ব্যবধান যতটা দেখাচ্ছে তার চেয়েও বেশি দূর্দান্ত খেলেছে পুলিশ এফসি। এক প্রকাশ শেখ জামালকে কোন সুযোগই দেয়নি তারা।
গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে পুলিশ এফসি। ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই লিড নেয় দলটি। মিঠুর নেয়া একটি ফ্রি কিক প্রতিপক্ষের বক্সে অবস্থান করা পুলিশের উজবেক ডিফেন্ডার জাভোকির সকিভব একটি ব্যাক হেড বল জালের ঠিকানায় পৌঁছে দেন। এরপর ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুন করে পুলিশ। একটি প্রতি আক্রমনে বা পাশ থেকে দলটির অধিনায়ক এডওয়ার্ড এর মাইনাসে সহজেই গোল করেন কাজেম শাহ।
২৩ মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়িয়ে নেয় এরিস্টিকা সিউবার শিষ্যরা। এডওয়ার্ডের ফ্রি কিক প্রতিপক্ষের বক্সে পড়লে তা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করে শেখ জামালের ডিফেন্ডার মানিক, কিন্তু বক্সে ভিতরেই তার হেড করা বল পেয়ে শট নেন পুলিশ এফসি’র শাহেদ। তার শট ঠিকভাবে পায়ে না লাগলেও খুঁজে পায় সতীর্থ আজমাত আব্দুল্লায়েবকে। তার করা ব্যাক হিলে আবারো জামালের গোলরক্ষক প্রীতম পরাস্ত হলে বড় লিড পেয়ে যায় পুলিশ এফসি।
তীব্র তাহদাহে আজ চার বার কুলিং ব্রেক দেন রেফারি। এই গরমও পুলিশ এফসি’র কোচ এরিস্টিকা সিউবার ট্যাকটিসে বাধা হতে পারে নি। তিন গোলে পিছিয়ে থাকা দলকে ম্যাচে ফেরাতে অল আউট এট্যাকে যায় শেখ জামালের কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। কিন্তু নিজেদের দূর্দান্ত জমাট রক্ষণে প্রতিপক্ষলে তেমন কোন সুযোগ তৈরি করতে দেয়নি পুলিশের খেলোয়াড়রা। যে কয়েকদফা গোলের মুখ খোলার চেষ্টা করেছিলো শেখ জামাল, ততবারই বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে পুলিশের দুই উজবেক সেন্টার ব্যাক অথবা গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের ফিরে পেতে চেষ্টা চালায় আবু তোরে, হিগোর লেইতে, ফাহাদরা। কিন্তু তাদের আক্রমন রুখে দিয়ে বড় লিড থাকায় কাউন্টার এট্যাকেই বেশি মনোযোগী ছিলো পুলিশ এফসি। একপ্রকার শেখ জামালকে ম্যাচে ফেরার কোন সুযোগই দেয়নি পুলিশ। এতে সহজ জয় নিয়েই ফেড কাপের সেরা চারে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে দলটি।