বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১৪তম রাউন্ডে এসে অঘটনের শিকার হয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তলানিতে থাকা ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে ৩-২ গোলে হেরে গিয়েছে ধানমন্ডির জায়ান্টরা। এদিকে আবারো পয়েন্ট হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে সাদা-কালোরা।
মুন্সীগঞ্জে টেবিলের তলানিতে থাকা ব্রাদার্স ইউনিয়নের মুখোমুখি হয় ৭ম স্থানে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাপিয়ে পড়ে শেখ জামাল। অপরদিকে শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলতে থাকে ব্রাদার্স। শেখ জামালের একের পর এক আক্রমণ গিয়ে বাঁধা পায় ব্রাদার্সের রক্ষণে। তবে স্রোতের বিপরীতে ম্যাচে এগিয়ে যায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে দারুন ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন এলিটা কিংসলে। অবশ্য বিরতির আগে ইনজুরি সময়ে ব্রাদার্সের জালে বল জড়ান আবদুল্লাহ। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়ায় সমতায় ফেরা হয়নি শেখ জামালের।
দ্বিতীয়ার্ধে লিড ধরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তবে ৭২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে শেখ জামালকে সমতায় ফেরান হিগর লেইতে। এর মিনিট পাঁচেক পর শাখজুদ শায়মানভের গোলে লিড নেয় শেখ জামাল। তবে ৮৪তম মিনিটে ব্রাদার্সকে সমতায় ফেরান আহমেদ মহসিন। এরপর ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে ব্রাদার্সের জালে আবারো বল জড়ান শেখ জামালের আবু তোরে। কিন্তু আরো একবার অফসাইডে বাতিল হয় শেখ জামালের গোলটি। এরপরই কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে ব্রাদার্স; বাঁ প্রান্ত দিয়ে সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত গতিতে বক্সে ঢুকে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে দর্শনীয় গোল করে আবারো ব্রাদার্সকে লিড এনে দেন রাব্বি হোসেন রাহুল। আর ম্যাচের বাকি সময় লিড ধরে রেখে এবারের লিগে নিজেদের প্রথম জয়ের স্বাদ পায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
মুন্সীগঞ্জে দিনের আরেক ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে মোহামেডান। কিন্তু কার্ড সমস্যায় এই ম্যাচে খেলতে না পারা অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের অভাবে আক্রমণগুলো আলোর মুখ দেখেনি। প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনীও সমানতালে লড়াই করার চেষ্টা চালায়। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক গোলে মোহামেডানকে এগিয়ে দেন আরিফ হোসেন। এরপর ৩৪তম মিনিটে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক থেকে চট্টগ্রাম আবাহনীকে সমতায় ফেরান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইফিয়াগু ডেভিড। ফলে ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধেও ফিনিশিং সমস্যায় ভুগতে থাকে দুই দল। ফলে বেশ কয়েকটি আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ হলেও স্কোরলাইনে পরিবর্তন আসেনি। তাই টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে মাঠ ছাড়ে লিগের দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহামেডান।