ম্যাচ যখন ইনজুরি সময়ে স্কোর গোলশূন্য ড্র। ধরেই নেওয়া হয়েছিল পাঁচ মিনিট ইনজুরি সময়ের খেলা শেষ করে দুই দলই এক পয়েন্ট পাওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু দ্বিতীয় মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে ভারত গোল করলে এক পয়েন্টের বদলে বাংলাদেশ ম্যাচ শেষ করলো শূন্য হাতে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ পরাজয় দিয়েই শুরু হলো বাংলাদেশের।
ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভারত সমান তালে লড়লেও শেষ পর্যন্ত জয়ী দলটির নাম ভারত। এ জয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পথ প্রায় পরিষ্কার হয়ে গেলো ভারতের।
বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই খেলছিল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, গোলের সুযোগ সবই তৈরি করেছে শুধু গোল ছাড়া। ভারতও গোল আদায় করতে পারেনি। অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া এক পয়েন্ট হাতছাড়া হয় ইনজুরি সময়ে। ভারত কর্নার থেকে বক্সের মধ্যে ক্রস করে। সুমিত শর্মা বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের মাঝে লাফিয়ে উঠে হেড করে ম্যাচের ডেডলক ভাঙেন। জটলার মধ্যে এক ড্রপ খেয়ে বল জালে জড়ায়।
এর আগে ৮ মিনিটে ভারত প্রথম সুযোগ পায়। ভারত লেইরেনজেম বক্সে ঢুকে একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারেননি। গোলকিপার বেরিয়ে এসে তা রুখে দেন। ২৭ মিনিটে বাংলাদেশের মুর্শেদ আলীর ফ্রি কিক পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ভারতের একচেটিয়া আধিপত্য দেখা গেছে। ৭২ মিনিটে ভারতের একজনের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে গিয়ে সুযোগ নষ্ট হয়। ৬ মিনিট পর আবারও তাদের একজনের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি। গোল করতে মরিয়া ভারত বারবারই বাংলাদেশের রক্ষণভাগে আঘাত হানছিল।
৯২ মিনিটে গোলটি হজমের পর বাংলাদেশের হাতে সময় ছিল মিনিট তিনেকেরও কম। এর মধ্যেও সুযোগ পেয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কাউন্টার অ্যাটাকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড ঠিকমতো হেড নিতে পারেননি। ফলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
৭ দেশের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ‘এ’ গ্রুপে খেলছে। গ্রুপের অন্য দলটি মালদ্বীপ। ‘বি’ গ্রুপের চার দল ভুটান, পকিস্তান, শ্রীলংকা ও নেপাল। উদ্বোধনী ম্যাচে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে পথ একটাই দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপকে হারাতেই হবে।