মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও নেপাল। প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচটি গোলশূন্যভাবে ড্র হয়েছে। এতে প্রথম ম্যাচ জিতে দুই ম্যাচের আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজটি নিজেদে করে নেয় বাংলাদেশ দল।
আজকের একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশে। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর পরিবর্তে দলে আসেন অভিজ্ঞ আশরাফুল ইসলাম রানা এবং ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসানের জায়গায় দলে ডুকেন ইয়াসিন খান। অন্যদিকে পাঁচটি পরিবর্তন করে একাদশ নির্বাচন করে নেপাল দল।
ম্যাচে শুরু থেকে বল পায়ে রেখে খেলছে নেপাল দলের ফুটবলাররা। তবে কোন দলই প্রথম দিকে গোছালো আক্রমন করতে পারেনি। ম্যাচের মাত্র ১৯ মিনিটেই খেলোয়াড় পরিবর্তন করেন নেপালের কোচ বাল গোপাল। আজকে অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নামা খাওয়াজকে তুলে নেন তিনি। আস্তে আস্তে খেলা গুছিয়ে নিয়ে আক্রমনে আসে বাংলাদেশ দল। খেলার ২৩ মিনিটে জীবনের দেয়া বল পেয়ে বা পায়ে একটি শট নেন সুমন রেজা। কিন্তু বক্সে বাইরে থেকে নেয়া শটটি পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। ৩১ তম আবারো একটি সুযোগ পান সুমন। ক্রস থেকে আসা একটি বল পোস্ট লক্ষ্য করে পায়েও লাগান তিনি। কিন্তু নেপালের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বলটি প্রতিহত হয় যা সহজে গ্লাভসে নেন কিরন কুমার।
নেপালের অনেকগুলো আক্রমন অফসাইডের ফাঁদে পড়ে নষ্ট হয়। প্রথম ম্যাচের মতো আজও বাংলাদেশের ডিফেন্স ভালো খেলা প্রদর্শন করে। এতে বড় কোন পরীক্ষার সম্মুখিন হতে হয়নি আবারো একাদশে ফেরা গোলরক্ষক আশরাফুল রানাকে। এতে গোলশূন্য ভাবেই প্রথমার্ধ শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামেন গত ম্যাচের গোলদাতা মাহবুবুর রহমান সুফিল। খেলার ৫৬ তম মিনিটে নেপালের ডিফেন্সের ভুল পাসে বল নিয়ে একটি থ্রু পাস বাড়ান সুফিল। তবে সাদ উদ্দিনে প্রথম টাচ একটু জোড়ে হয়ে যাওয়া লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসে বল লুফে নেন নেপাল গোলরক্ষক কিরন। এরপর টানা আরো কয়েকটি আক্রমন চালায় বাংলাদেশ। কিন্তু কাক্ষিত গোলের দেখা পায়নি জামাল ভুঁইয়ারা। ম্যাচের ৭৩ মিনিটের সময় হঠাৎ মাঠে ডুকে পড়েন একজন দর্শক, তিনি জামাল ভুঁইয়ার সাথে ছবি তুলতে চান। তবে নিরাপত্তাকর্মীরা পরবর্তীতে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
ম্যাচের সংযুক্তি সময়ে সবচেয়ে বড় সুযোগটি তৈরি করে নেপাল দল। একটি উড়ে আসা বলে হেড করে নেপালের বদলি স্ট্রাইকার নবযুক শ্রেষ্ঠা। কিন্তু তা গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। এতে করে ম্যাচটি গোলশূন্যভাবেই সমাপ্ত হয়। দুই ম্যাচ সিরিজের মোস্ট ভেল্যুয়েবল খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মাহবুবুর রহমান সুফিল।