শেষ মুহুর্তের গোলে পাকিস্তানের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। তুলনামূলক কম শক্তিশালী দল পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য ধরে রেখে খেলেছিলো বাংলাদেশ। তবে গোলের দেখা পাওয়া যেন বাংলাদেশের জন্য ডুমুরের ফুল হয়ে উঠেছিলো। তবে ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে ১-১ গোলে ম্যাচটি ড্র করে বাংলাদেশ।
৬ মিনিটের সময় এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ দল। ঋতুপর্ণা চাকমার ডানপ্রান্ত থেকে করা ক্রস শামসুন্নাহার জুনিয়র হেডে কানেক্ট করতে না পারলে সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। এরপর রাইট উইং দিয়ে ঋতুপর্ণা বক্সের ভেতরে বেশ কয়েকবার বল পাঠালেও ফিনিশিং ব্যর্থতার জন্য গোল আদায় করতে পারেনি দলের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়েরা।
প্রথমার্ধের পুরোটা জুড়ে বাংলাদেশ ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে নিজেদের খেলা চালিয়ে গেছে। পাসিং ফুটবল খেলা পজেশন ধরে রাখার পাশাপাশি আক্রমণ গিয়েছে এবং সুযোগও তৈরি করেছে। তবে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশী ভুগিয়েছে ফিনিশিং ব্যর্থতা। পুরো মাঠ জুড়ে ভালো খেললেও ফিনিশিং ব্যর্থতার বেড়াজাল থেকে নিজেদের বের করতে পারেনি বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা।
বিপরীতে ম্যাচের ৩২ মিনিটে গোলের দেখা পায় পাকিস্তান। রামিন ফরিদের লম্বা করে বাড়ানো থ্রু বল থেকে গোল করে সামিনা মালিক। বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক রূপনা চাকমা এগিয়ে এসে বল আটকাতে চাইলেও সফল হয় নি। প্রথমার্ধ শেষে খেলার ফলাফল দাঁড়ায় ১-০।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে পারছিলো সাবিনা খাতুনের দল। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশ লং রেঞ্জ শুট থেকে গোল করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু কোনোভাবে লক্ষ্যভেদ করতে পারে নি। ম্যাচের একেবারে যোগ করা সময়ে এসে অধরা গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। মাঠের ডানদিক থেকে ঋতুপর্ণা চাকমার ক্রস থেকে হেড করে বলকে পাকিস্তানের জালে পাঠান শামসুন্নাহার জুনিয়র। ফলে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
আগামী ২৩ অক্টোবর শক্তিশালী ভারতে বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলকে সেমিফাইনালে যেতে হলে ড্র কিংবা জয় পেতে হবে। এছাড়া ভারতের বিপক্ষে ২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হলেও পরবর্তী রাউন্ডে কোয়ালিফাই করার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের সামনে।