শ্রীলঙ্কায় চারজাতির ফুটবল টুর্ণামেন্টকে সামনে রেখে মারিও লেমোসের তত্ত্বাবধানে মাঠের অনুশীলনে ঘাম ঝড়াচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলায় দলের প্র্যাক্টিস গ্রাউন্ড নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। আজ বাংলাদেশ দল ফর্টিস গ্রাউন্ডে নিজেদের অনুশীলন সম্পন্ন করেছে। এর আগে কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছিলো জামাল-তপুরা।
অন্যদিকে আজ খেলোয়াড়দের সাথে দেখা করতে আসেন স্বয়ং বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। আসন্ন চারজাতির টুর্ণামেন্টে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ। অন্য দুইদল তুলনামূলক কম শক্তিশালী। তবুও টুর্ণামেন্ট নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেন নি বাফুফে সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ভালো কিছু আশা করি। এটা নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। এটা কোচিং ম্যাথডের বিষয়।’
এছাড়া অনুশীলন পরিদর্শনের সময় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেনের সাথে বিশেষভাবে আলাপ করেন বাফুফে সভাপতি। জামালের সঙ্গে আলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জামালের কাছে বললাম, আমি কি শ্রীলঙ্কা যাব, না যাব না? তোমাদের অনুমতি লাগবে। জামাল বলল, তারা আমাকে চ্যাম্পিয়নশিপ দেবে। তখন বললাম, আমি তাহলে ফাইনালে যাব।’
সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে বাদ মূল কারণ ছিলো শেষ মুহূর্তে রেফারির নেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু তার পাশাপাশি আরো একটি কারণ বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে সবার কাছে। সেটি হলো ভুলবশত রাকিবের নেওয়া সেই ব্যাকপাস। এই ব্যাকপাসের কারণেই গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকুকে লাল কার্ড দেখতে হয়। ফলে রাকিবকে সবার মতো সালাউদ্দিনেরও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু রাকিবের কাছে এর কোনো সদুত্তর পান নি সালাউদ্দিন।
এক সময়ের দেশসেরা ফরোয়ার্ড ছিলেন কাজী সালহউদ্দিন। তাই পরবর্তী টুর্ণামেন্টে ভালো করতে রাকিবকে পরামর্শ দিতে ভুলেন নি বাফুফে সভাপতি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি রাকিবকে বলেছি তোমার ক্রসিংটা আরেকটু ঠিক করতে হবে। পাশাপাশি অ্যাঙ্গেলটা। ও বিষয়টি বুঝতে পেরেছে।’
নতুন কোচ মারিও লেমোসের প্রসঙ্গেও কথা বলেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে স্থায়ী কোচ পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য ভারপ্রাপ্ত কোচ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। আগের টুর্নামেন্টে ছিল অস্কার, এই টুর্নামেন্টে ল্যামোস। আমরা শীঘ্রই স্থায়ী কোচ নেব।’