দুর্দান্ত লড়াই দিয়ে শেষ হলো ফেডারেশন কাপের নির্ধারিত সময়ের খেলা। প্রথমার্ধের পরও দ্বিতীয়ার্ধের খেলাও ড্র হয়। তবে এবার ফলাফল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল করার সুযোগ পায় বসুন্ধরা কিংস। তপু বর্মনের ক্রস থেকে ওভারহেড কিকের চেষ্টা চালায় ডরিয়েল্টন গোমেজ। চেষ্টা করলে বলের সাথে পায়ের পুরোপুরি কানেক্ট করতে না পারায় গোলের সহজ সুযোগ হারায় বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের ৬১ এবং ৬২ মিনিটে দুইবার গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ দুইবারই দলকে বাঁচিয়ে দেন।
পরের মিনিটে আবারো কিংসের গোলপোস্টে আবারো চার্জ করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এবার আবার বলকে রুখতে পারে নি কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। বক্সের বাইরে থেকে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ইমানুয়েল সানডের বাম পায়ের শটে বল জাল খুঁজে পায়। পোস্টের নিচে থাকা মেহেদী হাসান শ্রাবণ বা’দিকে ঝাপিয়ে পড়লেও শেষ রক্ষা হয় নি। ৭৭ মিনিটে সমতা ফেরার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন বসুন্ধরা কিংসের ডরিয়েল্টন গোমেজ। রবসনের পাস থেকে একেবারে গোলমুখে বল পেয়ে যান তিনি, বামপায়ের শটও নেন। কিন্তু মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন বসে পড়ে বলকে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন।
৮১ মিনিটের মাথায় রবসনের বুলেট গতির শট বারে লেগে ফিরে এলে আবারো সমতা পেতে ব্যর্থ হয় কিংস। পরের মুহুর্তে সেখান থেকে প্রতি আক্রমণ সাজান মোহামেডানের সোলেমান দিয়াবাতে। বল নিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়ে বলকে জালে পাঠাতে চাইলে কিংসে গোলরক্ষক শ্রাবণ বলকে ফিরিয়ে দেন। অনেক চেষ্টার পর ৮৭ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফিরে পায় বসুন্ধরা কিংস। মিডফিল্ড থেকে রান মেইক করে মোহামেডানের তিনজনকে বোকা বানিয়ে বাম পায়ে অসাধারণ এক শটে গোল আদায় করে নেন এই ব্রাজিলিয়ান মিড।