বসুন্ধরা কিংস মানেই নতুনত্বের ছোয়া। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের পদযাত্রার পর থেকে নতুন নতুব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস; নিজেদের স্টেডিয়াম তৈরি কিংবা স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইটের ব্যবহার তারই জানান দেয়। এবার নিজেদের ভক্তদের জন্য ‘ফুটসাল কার্নিভাল ২০২৪’ এর আয়োজন করেছে দলটি। টুর্ণামেন্টের ম্যাচগুলো আয়োজিত হয় বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির ফুটসাল গ্রাউন্ডে।
ভক্ত সমর্থকদের জন্য বসুন্ধরা কিংসের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে নতুনত্বের ছোয়া দিয়েছে। এই টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণ করে সর্বমোট ১২ টি দল। ১২ টি দলকে ৪ টা গ্রুপে ভাগ করা। প্রতিটি গ্রুপ থেকে ২ টি করে দল নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ হয়। এই টুর্ণামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে বুড়িগঙ্গা কিংস এবং মেঘনা কিংস। ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা ড্র হয়ে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে মেঘনা কিংসকে ৩-২ করে পরাজিত করে বুড়িগঙ্গা কিংস।
চ্যাম্পিয়ন ট্রফি টুর্ণামেন্টের সকল ব্যক্তিগত সেরার পুরষ্কার জিতেছে বুড়িগঙ্গা কিংসের খেলোয়াড়েরা।ফাইনালে ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল হইছে বুড়িগঙ্গা কিংসের গোলকিপার হোসাইন। টুর্ণামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার জিতেন বুড়িগঙ্গা কিংসের রোহিত। এছাড়া টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ার ও সেরা কোচের পুরষ্কার জিতেন যথাক্রমে একই দলের রিয়াদ ও নিসাদ।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। ম্যাচ শেষে তিনি চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে পুরষ্কার তুলে দেন। ট্রফি পাশাপাশি অর্থ পুরষ্কারও পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল। টুর্ণামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল বুড়িগঙ্গা কিংস ৫০ হাজার টাকার এবং রানার্সআপ দল মেঘনা কিংস ২৫ হাজার টাকার আর্থিক পুরষ্কার পায়।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের চারজন খেলোয়াড়। তারা হলেন- আনিসুর রহমান জিকো, রকিব হোসেন, সোহেল রানা ও রিমন। বসুন্ধরার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তিনি বলেন, “অবশ্যই এটি একটি ভালো উদ্যোগ, এর আগে কোনো ক্লাব হয়তো এমন উদ্যোগ নেয় নি। নিজে কাছ থেকে ম্যাচ দেখেছি, আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।”