গত মৌসুমে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের দায়িত্বে থাকা ড্রাগো মামিচের উপর ভরসা রাখছে না ক্লাব কর্তৃপক্ষ ফলে নতুন মৌসুমে জামাল-রহমতদের দায়িত্বে দেখা যাবে বেলজিয়ামের পল পুটকে। তার কোচিং যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও রয়েছে বিতর্কিত অতীত। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হতে হয়েছে এই কোচকে।

জর্ডান, গিনি, গাম্বিয়া, বুরকিনা ফাসো ও কেনিয়া জাতীয় দলের কোচ ছিলেন পুট। বড় বড় এই দলগুলোর কোচ হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করেছেন মরক্কোর উইদাদ কাসাব্লাঙ্কা ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক হিসেবে। তবে বিতর্কের সৃষ্টি হয় ২০১২ সালে। বেলজিয়ামের ক্লাব লিয়ার্সের কোচের দায়িত্ব পালনের সময় ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠে তার উপর। বেলজিয়ামের ফুটবল ফেডারেশন তাঁকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। এমনকি গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিলো।

২০১৯ সালে বিতর্কিত কারণে আবারো আলোচনায় এসেছিলেন পল পুট। গিনি জাতীয় দলের কোচ থাকাকালীম ফেডারেশনের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের বিদ্রোহে উস্কানিমূলক কাজ করায় তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করে গিনি ফুটবল ফেডারেশন।

বির্তক পিছু না ছাড়লেও কোচ হিসেবে সফল বলা চলে এই বেলজিয়ানকে। ১৯৯৪ সালে নিজ দেশের ক্লাব টিউব্যান্টিয়া বোর্গারাউট দিয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন পুট। এরপর বেলজিয়ামের ঘরোয়া ফুটবলের ক্লাবগুলোতে কাজ করতে থাকেন তিনি। ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম দেশের বাইরে কাজ করেন পুট; দায়িত্ব নেন গাম্বিয়া জাতীয় দলের। এরপর পর্যায়ক্রমে জর্ডান, কেনিয়া, গিনি জাতীয় দলে কাজ করেছেন। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব তার অতীত ইতিহাস জেনেই তাকে দলের দায়িত্ব দিয়েছে। তাঁরা বিশ্বাস করে বিতর্ক ছাপিয়ে পুট নিজের অভিজ্ঞতা দিতে তাদের ক্লাবকে সাফল্য এনে দিবে।

Previous articleনিয়োগ দেয়া হবে ম্যানেজার; নেপালের বিপক্ষে ম্যানেজার হতে পারেন জেমি!
Next articleপ্রথমবার জাতীয় দলের ক্যাম্পে তারিক কাজী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here