আজ রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে চলেছে এক স্ট্রিম রোলার। সাইফের সেই গোলের স্ট্রিম রোলারের বিধ্বস্ত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের শিবির। স্বাধীনতার নিজেদের হোম ভেন্যুতে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
গোলের শুরুটা করেন সাইফের রাওয়ান্ডিয়ান ডিফেন্ডার এমিরি। ম্যাচের ১৫ মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক থেকে হেড গোল করে ম্যাচে সাইফকে এগিয়ে দেন এমিরি। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে সাইফ তার লিড দ্বিগুণ করে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা। মাঠের ডানপ্রান্ত থেকে ফরোয়ার্ড নিশাত জামাল উচ্ছাসের কাছে থেকে বল পান এমেকা। বল পেয়ে একজনকে পাশ কাটিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে দুইজনের বাঁধা টপকে অন টার্গেট শট নিয়ে গোল করেন। দুই গোলের লিডে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্বাধীনতার জালে আবারো বল পাঠায় সাইফ। এবার স্কোরশিটে নিজের নাম তুলেন সাইফের উজবেক ডিফেন্ডার আশুরোর গাফুরোভ। ৪৬ মিনিটে কাউন্টার এটাকে মাঝমাঠ বলকে একাই টেনে নিয়ে যায় সাইফের ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ফাহিম পরবর্তী বল দেন গাফুরোভের কাছে। গাফুরোভ বামপ্রান্ত দিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে জোরালো শটে করে গোল আদায় করে নেন। তার করা গোলে ম্যাচে তিন গোলে এগিয়ে থাকে সাইফ।
মিনিট তিনেক পর ফ্রি-কিক থেকে উজবেক ডিফেন্ডার নাদিরের নিচু শটে গোল করে এক গোল শোধ দেয় স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। ম্যাচের ৭০ ও ৭৯ মিনিটে আরো দুইটি গোল করে নিজের হ্যাট্রিক পূরণ করেন এমেকা। তবে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ আর কোনো গোল শোধ করতে না পারলে তিন জয়ের দেখা না পাওয়া সাইফ ৫-১ গোলের বড় জয় পায়।
এই জয় দিয়ে ৬ ম্যাচে ৩ জয়,২ হার ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে পেছনে ফেলে তালিকার পাঁচে উঠে এসেছে জামাল ভূঁইয়ার দল। অন্যদিকে ৬ ম্যাচে ১ জয়, ৪ হার ও ১ ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় আগের ১০ম স্থানেই রয়েছে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ।