সাফের শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরেছে বাঘিনীরা। আজ দুপুরে সাফের ট্রফি নিয়ে নেপালের কাঠমুন্ডু থেকে ঢাকায় পৌঁছায় তারা। এরপর বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে খেলোয়াড়দের ছাদখোলা বাসে অভ্যর্থনা জানানো হয়। ছাদখোলা বাসে অভ্যর্থনা শেষে বাফুফে ভবনে যায় সাফ চ্যাম্পিয়নরা। সেখানে তাদেরকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক অর্থিক পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

আন্তজার্তিক পর্যায়ে ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্য অনেক কম। তাও বাংলাদেশের দুয়ারে যেসকল সাফল্য বয়ে এসেছে তার বেশীরভাগই আসে নারী ফুটবলারদের হাত ধরে। ২০০৩ সালে আমিনুলদের সাফ জয়ের পর দীর্ঘ ১৯ বছর সাফের মূল ট্রফি অধরা থেকে যায় বাংলাদেশের জন্য। ২০২২ সালে এসে ১৯ বছরের সেই শিরোপা খরা মেটায় নারী ফুটবলাররা। এরপর ২ বছরের ব্যবধানে টানা দ্বিতীয় বারের মতো সাফের ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

সাফজয়ীরা দেশে ফেরার পর বাফুফে ভবনে গিয়ে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাদের কৃতিত্বের পুরষ্কার স্বরূপ ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক তাদেরকে ১ কোটি টাকা আর্থিক পুরষ্কারে পুরষ্কৃত করেন।

এর আগে সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের জন্য আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিকেলেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, সাফজয়ী নারী ফুটবলারদেরকে আর্থিক পুরস্কার দেবে বিসিবি। তবে, তিনি তখন পরিমাণ উল্লেখ করেননি। যদিও সন্ধ্যা নাগাদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিসিবি পরিমাণটা জানিয়ে দেয়। ২০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেয়া হবে নারী ফুটবলারদের। তবে, ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিসিবির পক্ষ থেকে নারী ফুটবলারদের আর্থিক পুরস্কার দেয়া হয়েছিলো ৫০ লাখ টাকা।

Previous articleছাদ খোলা বাসে বাফুফে ভবনে সাফজয়ীরা
Next articleনারী ফুটবল নিয়ে ইমরুল হাসানের আশার বাণী!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here