দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত সেমি ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এবারের সাফে অন্যরকম এক বাংলাদেশের দেখা মিলেছে। যে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের উপর ছড়ি ঘুরাতে পারে, যে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে কামব্যাক করতেও জানে। তাইতো কুয়েতের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে শেষ চার থেকে বিদায় নিলেও দলের পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরাকে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পথচলার অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন বাংলাদেশ কোচ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাভিয়ের ক্যাবরেরা একইসাথে ফাইনাল খেলতে না পারার হতাশা এবং দলের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত হওয়ার কথা জানান। ক্যাবরেরা বলেন,
“জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল, আমার মনে হয় কুয়েত কোচও এটাই বলবে। গতকাল আমরা তিন-চারটি বিষয় গুছিয়ে নেওয়ার এবং মাত্র একটি সেশন করার সময় পেয়েছি। কিন্তু এরপরও দল যেভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে অবিশ্বাস্য এবং অকল্পনীয়। আমি মনে করি, আমরা জয়ের যোগ্য এবং এ কারণেই ফল নিয়ে হতাশ। কিন্তু ছেলেদের পারফরম্যান্সে গর্বিত আমি। এই হার মেনে নেওয়া কঠিন। দলের পারফরম্যান্স আসলেই দারুণ ছিল। যেভাবে আমরা খেললাম, এই টুর্নামেন্টে যে ধারাবাহিকতা দেখালাম, সেটা ছিল দুর্দান্ত। আগের ম্যাচগুলোর চেয়ে ছেলেদের আজকের পারফরম্যান্স আরও ভালো ছিল। আমাদের সুযোগ ছিল ফাইনাল খেলার।”
পুরো ম্যাচ জুড়ে বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। আর ক্যাবরেরার হতাশাটা এখানেই,
“আবারও সুযোগ হারানোর দুঃখ আছে আমাদের। তবে কুয়েত এই টুর্নামেন্টে ফেভারিট দল এবং গ্রুপ সেরা হয়ে, টানা আট বা নয়টি ম্যাচ জিতে এখানে এসেছে এবং কেউ ভাবেনি আমরা তাদের বিপক্ষে ভালো করব। কিন্তু আমরা ফাইনালের পথেই ছিলাম। ৯০ মিনিটের মধ্যে প্রথম মিনিটেই (দ্বিতীয় মিনিট) সুযোগ পেলাম, আমার মনে হয়, যদি গোলটা পেতাম, তাহলে দ্বিতীয়ার্ধে কুয়েতকে চাপ দিতে পারতাম আরও। আমি মনে করি না, ওরা আমাদের বিপক্ষে বেশি সুযোগ তৈরি করেছে। ছেলেদের নিয়ে ইতিবাচক ছাড়া কিছুই বলার নেই আমার। বাংলাদেশের খেলার মান এটাই (কুয়েতের বিপক্ষের পারফরম্যান্স) হওয়া উচিত। আমাদের উচিত নয় এর নিচের মানের ফুটবল খেলা এবং এই মান ধরে রাখা উচিত আমাদের। কঠিন, কঠিন ম্যাচ হয়েছে, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ছেলেদের পারফরম্যান্সে ভীষণ গর্বিত আমি।”