ফিফার স্বদিচ্ছায় ভাগ্য ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের। বহুদিন ধরে বেতন সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছিলো সাবিনারা। বারংবার আশ্বাস দেওয়া পরও ফেডারেশন তাদের বেতন পরিপূর্ণভাবে মিটিয়ে দিতে পারছিলো না। অবশেষে ফিফার অনুমতি সাপেক্ষে ফিফার প্রদানকৃত বার্ষিক অনুদান তহবিল থেকে খেলোয়াড়দের বেতন দিতে পারবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বাফুফেড আবেদনের প্রেক্ষিতে ফিফা এই অনুমতি দিয়েছে।
২০২২ সালে সাফের শিরোপা জয় করেছিলো বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। সাফ জয়ের পর নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলো বাফুফে, যার মধ্যে বেতন ছিলো অন্যতম। কিন্তু নিয়মিত প্রতি মাসের বেতন পাচ্ছিলো না সাবিনা-সানজিদারা। বকেয়া থাকতো কয়েক মাস। তবে অবশেষে সৌভাগ্যের সন্ধান পেতে যাচ্ছে বাঘিনীরা। নারী ফুটবলারদের এই সমস্যা সমাধান এগিয়ে এসেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণক সংস্থা ফিফা। ফিফা জানিয়েছে তাদের দেওয়া বার্ষিক অনুদানের অর্থ থেকে বাফুফে নারী খেলোয়াড়দের বেতন পরিশোধ করতে পারবে। যদিও আগে এইরকম কোনো নিয়ম ছিলো না, কিন্তু খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করে সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে ফিফা।
ফিফার অনুদান থেকে নারী ফুটবলদের বেতন পরিশোধ করার জন্য ফিফার কাছে আবেদন করেছিলো বাফুফে। বাফুফের সেই আবেদনের অনুমতি দেওয়ায় নারীদের বেতন সংক্রান্ত সমস্যা এখন দূর হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন,
‘মেয়েদের বেতনের টাকার জন্য আমরা ফিফাকে অনুরোধ করে চিঠি লিখেছিলাম। ফিফা বলেছে, বাফুফেকে তারা যে অনুদান দেয়, সেখান থেকে মেয়েদের বেতন দেওয়া যাবে। আগে ফিফার অনুদান থেকে মেয়েদের বেতন দেওয়ার সুযোগ ছিল না। অন্যভাবে জোগাড় করতে হতো। এখন অনুদান থেকে সেটা দিতে পারা মানে আমাদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির।’
পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ ১৫ জন ফুটবলার মাসে পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা করে। ১০ জন পেতেন ৩০ হাজার টাকা, ৪ জন ২০ হাজার ও ২ জনের বেতন ছিল ১৮ হাজার টাকা করে। সব মিলিয়ে সর্বমোট ৩১ জন ফুটবলারের জন্য বেতনের পরিমাণ ছিল মাসে ১১ লাখ টাকার অধিক। তবে এবার পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে ফুটবলারদের সাথে নতুন করে চুক্তি করবে বাফুফে। সাবিনারা নতুন চুক্তিদের তাদের বেতন বাড়ানো দাবি তুললেও তা আমলে নেয় নিই বাফুফে। ফলে আগের বেতন স্কেলে বেতন পাবে নারী ফুটবলাররা।