বছরের শেষ ফিফা উইন্ডোতে কম্বোডিয়া ও নেপালের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) মাঠে দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এরইমধ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ হয়ে যাওয়ায় কম্বোডিয়া ও নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলনের জন্য প্রায় তিন সপ্তাহ সময় পেয়েছেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। লিগের পর ফুটবলাররা ছুটিতে থাকায় ক্যাম্পের শুরুর কয়েকদিন ফিজিওকে সঙ্গে নিয়ে শিষ্যদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করবেন বাংলাদেশ কোচ। এরপর পুরোদমে শুরু হবে মাঠের অনুশীলন।
ফিটনেস নিয়ে কাজ করা হলেও ফুটবলারদের ফিটনেস সন্তোষজনক পর্যায়েই রয়েছে বলে ক্যাম্পের প্রথমদিনই জানিয়েছিলেন ক্যাবরেরা। এবার কোচের সঙ্গে সুর মিলিয়ে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোও জানিয়েছেন সবার ফিটনেস ভালো অবস্থায় রয়েছে। জিকো মনে করেন, আগের চেয়ে ফুটবলাররা এখন অনেক পেশাদার। তাই ফিটনেস নিয়ে সবাই আরো বেশি সতর্ক, ‘আগে ছুটি থেকে ফিরে ক্যাম্পে যোগ দিলে ফিটনেসে অনেক সমস্যা হতো। অনুশীলনে ফিরলে অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। কিন্তু এখন আর তা হয়না। উচ্চ তীব্রতার মধ্যে অনুশীলন করেও সবাই ঠিক ছিল। কারো সমস্যা হয়নি। কারণ এখন আমরা অনেক পেশাদার। সবাই ওভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। ক্লাব থেকেও শিডিউল দেওয়া ছিল সেভাবে কাজ করেছি। সবাই ছুটিতে ছিল কিন্তু জিম, রানিং করে ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।’
গতকাল কম্বোডিয়া ও নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে নিজেদের সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি বলেছিলেন অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। অধিনায়কের পর গোলরক্ষক জিকোরও বিশ্বাস জিততে পারবে বাংলাদেশ। আর জিততে হলে ম্যাচে পাওয়া সকল সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে, ‘শেষ তিন ম্যাচ অনেক ভাল দলের সাথে খেলছি। সামনের দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ আমাদের সম মানের। চেষ্টা করব বিল্ড আপ ফুটবল খেলার। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দুই ম্যাচই জিততে পারবো।’