সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতির পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন আব্দুল গাফফার। এই বছরের মে মাসে আব্দুল গাফফার সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। কিন্তু সভাপতি পদের মেয়াদ চার মাস পেরুতে না পেরুতে স্বেচ্ছায় নিজের সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন গাফফার।

সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আব্দুল গাফফার সোনালী অতীত ক্লাবের দপ্তর সম্পাদকের নিকট তার পদত্যাগ পত্রটি প্রেরণ করেন। তিনি তার পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেছেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করতে পারায় ক্লাব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এইজন্য তিনি সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।

পদত্যাগ পত্রে নিজের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করা হলেও এক বিশ্বস্ত প্রিন্ট মিডিয়াকে জানান সোনালী অতীত ক্লাবের ভেতরে অসাধুতা দেখা দেওয়ার কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, “আসলে কয়েক দিন হলো সোনালী অতীতে বেশ নোংরামি চলছে। কারা করছে নাম বলতে চাই না। এটা অনেকেই জানে। তাই এই সংগঠনে আর থাকতে চাইছি না। পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

এছাড়া সভাপতির পদত্যাগের বিষয়ে একটি তথ্যও উঠে এসেছে। সেটি হলো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে ক্লাবের অন্য সদস্যদের অসন্তোষ। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। অল্প কিছুদিন আগে সাবেক কিছু ফুটবল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিবর্তনের দাবি তুলে; তাদের সেই দাবি জনপ্রিয়তা পেতে খুব বেশী সময়ও লাগে নি। সাবেক ফুটবলাররা তাদের দাবির প্রসঙ্গে গতকাল একটি সভাও করেছে। তবে সেই সভাতেও আপত্তি প্রকাশ করেছিলেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

সভাপতি আব্দুল গাফফারের পদত্যাগের পর ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনও পদত্যাগ করে। সভাপতি পদত্যাগের পর তিনি জানিয়েছিলেন, “সভাপতির চিঠি এখনো আমি দেখিনি। সভাপতির চিঠি পাওয়ার পর আমি সিদ্ধান্ত নেব।” তিনি সভাপতির পদত্যাগের পর নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

Previous articleযেভাবে ভর্তি হওয়া যাবে বসুন্ধরা কিংসের একাডেমিতে 
Next articleক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মন্ডলের মৃত্যু 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here