জরিমানা পরিশোধ না করায় শাস্তির মুখে পড়লো আর্জেন্টিনার তৃতীয় সারির ক্লাব সোল দে মায়ো। গত মে মাসের শুরুতে বাংলাদেশের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় ক্লাবটি জরিমানা করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও জরিমানা পরিশোধ করে নি ক্লাবটি। ফলে শাস্তির মুখে পড়েছে সোল দে মায়ো।

খুব ঘটা করে জামাল ভূঁইয়াকে দলে ভিড়িয়েছিলো সোল দে মায়ো। তবে সুখ বেশীদিন কপালে সয় নি। দেড় বছরের চুক্তি থাকলে মাত্র সাত মাস যেতে না যেতে ক্লাবের বিপক্ষে অভিযোগ আনে জামাল। ফিফার কাছে এই নিয়ে নালিশ করা হলে উপযুক্ত প্রমাণে প্রেক্ষিতে সোল দে মায়োকে জরিমানা করা হয়। জরিমানার পরিমাণ ছিলো প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।

জরিমানার টাকার মধ্যে  জামালের সাত মাসের বেতনের মূল টাকার সাথে ৫ শতাংশ ইন্টারেস্ট হিসেবে ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। এর পাশাপাশি নিয়ম ভঙ্গের জন্য ৫ শতাংশ ইন্টারেস্টসহ বাংলাদেশী টাকায় আরো ৮৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার নোটিশ দেওয়ার ১০ দিনের ভেতরে আপিলে সুযোগ পেয়েছিলো ক্লাবটি তবে তাতেও কোনো লাভ হয় নি। পরবর্তীতে ৪৫ দিনের মধ্যে জরিমানা ক্লাবটিকে পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

নির্দেশ প্রদান করা হলেও সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে সোল দে মায়ো। তাই গত ২৭ ই জুন দলটিকে আন্তজার্তিক দলবদলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর পাশাপাশি ফিফার হেড অব জুডিসিয়াল বডির জুলিয়ান ডিয়াক্সের প্রেরিত চিঠিতে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে ক্লাবটির ওপর স্থানীয় দলবদলেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।তবে এর মধ্যে লাভের বদলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে জামাল ভূঁইয়া। জরিমানার মুখে পড়ার কারণে সোল দে মায়োর পক্ষ থেকে তার পাওয়ার আশা একেবারে শূণ্যের কোটায় ঠেকেছে।

Previous articleবাইশ কোটির ঊর্ধ্বে ঘাটতি দেখিয়ে বাফুফের বাজেট প্রস্তাবের প্রস্তুতি!
Next articleবাফুফের এজিএম থেকে আসলো যেসব সিদ্ধান্ত!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here