স্বাধীনতা কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ধানমন্ডির জায়ান্টরা ২-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে।
ম্যাচে আবাহনী জিতলেও প্রত্যাশিত পারফর্ম্যান্স দিতে পারেনি তারা। তিন বিদেশীকে নিয়ে গড়া আবাহনী দলকে ৭৬ মিনিট পর্যন্ত আটকে রাখে মাত্র একজন বিদেশী নিয়ে খেলতে নামা রহমতগঞ্জ। এমনকি সহজ কোন সুযোগও তৈরি করতে পারেনি আবাহনী। রহমতগঞ্জের একমাত্র বিদেশী দাউদা সিসে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়া পর গোলের দেখা পায় আবাহনী। তার আগ পর্যন্ত বরং রহমতগঞ্জ সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে হয়তো ভিন্ন ফলাফল দেখার সম্ভাবনা ছিলো।
ম্যাচের শুরু থেকে বল নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখে আবাহনীর খেলোয়াড়রা। এতে বিছিন্ন কিছু আক্রমন চালালেও গোল করার মতো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধে বলার মতো একমাত্র সুযোগটি তৈরি হয় ৩৭ মিনিটে। রবিউলের ফ্রি থেকে একটি হেড নেন মিলাদ, কিন্তু তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে চলে গেলে রক্ষা পায় রহমতগঞ্জ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি হারায় রহমতগঞ্জ এমএফএস। ৪৭ মিনিটে সিসের ক্রসে ফাঁকা পোস্টে সহজ হেড পোস্টের বাইরে পাঠান ইমন। খেলার ৭৬ তম মিনিটে এসে ভাঙ্গে ডেড লক। জনাথনের বাড়ানো বলে ডি বক্সের ভিতর বলের নিয়ন্ত্রণ নেয়া স্টুয়ার্টকে রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক নাঈম ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি স্টুয়ার্ট।
৮৪ তম মিনিটে কাউন্টার এট্যাকে ব্যবধান বাড়ান আকাশী-নীল বাহিনী। কর্নিলিয়াস স্টুয়ার্ট বক্সের বাইরেই গোলরক্ষক নাঈমকে পরাস্ত করেন, কিন্তু নিজে শট না নিয়ে জনাথনের উদ্দেশ্য বল বাড়ান। ঐ সময়টায় মনে হচ্ছিলো সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করতে যাচ্ছে আবাহনী, তবে জনাথনের ফ্লিক শট ঠিকই জালের ঠিকানা খুঁজে নিলে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা। এছাড়া ম্যাচের একেবারে শেষ সময়ে বক্সের বাইরে থেকে বদলি নামা মেহেদী হাসান রয়্যালের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিয়ে আবাহনীকে ব্যবধান বাড়নো থেকে প্রতিহত করেন গোলরক্ষক নাঈম। এতে করে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ঢাকা আবাহনী।