কদিন আগে ঘটা করে জানানো হয়েছিল আলোচিত কোটি টাকার সুপার কাপ আয়োজনের বিষয়টি। বাছাই ও মূল পর্বের রূপরেখাও দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছিলেন, ১৪ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি হবে সুপার কাপের বাছাই পর্ব। ২ এপ্রিল মূল পর্ব শুরু হয়ে শেষ হবে ১৩ এপ্রিলে। ওই সময় পৃষ্ঠপোষকের বিষয়টি এক-দুদিনের মধ্যে চূড়ান্ত হওয়ার কথাও বলেছিলেন সোহাগ। কিন্তু পাঁচ দিনের ব্যবধানে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল প্রতিযোগিতাটি। কিন্তু পাঁচ দিনের ব্যবধানে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল প্রতিযোগিতাটি। ঠিক কবে নাগাদ এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেননি বাফুফে সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি।
সুপার কাপ নিয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের ঘোষণার পাঁচ দিনের মাথায় সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি জানালেন, স্পন্সর চূড়ান্ত হয়নি এখনও। এ কারণেই আগের ঘোষিত সময়ে হচ্ছে না সুপার কাপ, “আসলে আমরা আশাবাদী ছিলাম, যেহেতু স্পন্সরদের সঙ্গে একটা কথা চলছে, ভেবেছিলাম সিদ্ধান্ত চলে আসবে। সেই জায়গায় হঠাৎ করেই…আমরা স্পন্সর চূড়ান্ত করতে পারিনি। এখানে প্রাইজমানি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর পার্টিসিপেশন ফি’সহ অনেক বিষয় আছে, সবকিছু মিলিয়ে আমাদের একটা বাজেট ছিল। আমরা চেষ্টা করেছিলাম, সেই বাজেটের সংস্থান যেন হয় স্পন্সরদের কাছ থেকে। সে বিষয়টি যেহেতু এখন পর্যন্ত আমরা চূড়ান্ত করতে পারিনি, সে কারণে আমরা নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তবে এখন না হলেও সুপার কাপ আয়োজনের লক্ষ্যে ফেডারেশন অটুট আছে বলে জানান তিনি, “সুপার কাপ হবে না-এ কথা আমরা এখনও বলছি না। যেটা আপনাদের কাছে বলা হয়েছিল, সেটা ফেডারেশন কাপ বা পেশাদার লিগের পরেও হতে পারে। আমরা একাধিক স্পন্সরের সঙ্গে কথা বলছি, যার সঙ্গে চূড়ান্ত হবে…আমরা এখনই বলছি না সুপার কাপ হবে না। হলে, সেটা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আয়োজন করা হবে এবং সেটা আপনাদের জানিয়ে দেব।”