আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের আরো একটি নতুন মৌসুম। স্বাধীনতা কাপ দিয়েই শুরু হবে এবাবের মৌসুম। প্রতিবার স্বাধীনতা কাপ পরে অনুষ্ঠিত হলেও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নতুন ফুটবল মৌসুমের শুরু স্বাধীনতা কাপ দিয়েই করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তাই নতুন মৌসুমে ভিন্ন মাত্রা যোগ করছে এবারের স্বাধীনতা কাপ।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে প্রিমিয়ার লীগ ও ফেডারেশন কাপের পরেই স্বাধীনতা কাপের অবস্থান। ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছিলো এই টুর্ণামেন্ট। তখন থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত ১০ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে এই টুর্ণামেন্ট। স্বাধীনতা কাপের সর্বশেষ আয়োজন ছিলো ২০১৮-১৯ মৌসুমে। সেইবার ফাইনালে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ২-১ পরাজিত করে প্রথমবারের মতো ট্রফি নিজেদের ঝুলিতে পুরে নেয় বসুন্ধরা কিংস।
এরপর করোনা মহামরিতে পুরো ফুটবল বিশ্ব থমকে গেলে এর আঁচ পড়ে বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনেও। অবশেষে প্রায় ৩ বছর পর আবারো মাঠে গড়াতে যাচ্ছে স্বাধীনতা কাপ। এবারের স্বাধীনতা কাপে অংশ নিচ্ছে প্রিমিয়ার লীগে ১২টি এবং সার্ভিসেস ৩ টি দল মিলিয়ে সর্বমোট ১৫ টি দল। সার্ভিসেস দল গুলো হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনী।
আসন্ন এই টুর্ণামেন্ট উপলক্ষে আজ ২৩ নভেম্বর বাফুফে ভবনে স্বাধীনতা কাপের লোগো উন্মোচন, কন্ট্রাক সাইন ও ড্র অনুষ্ঠিত হয়। অংশ নেওয়া ১৫ টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়।
গ্রুপ ‘এ’-তে আছে ঢাকা আবাহনী,রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি,স্বাধীনতা সংঘ। গ্রুপ ‘বি’-তে রয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব,শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র,উত্তর বারিধারা, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। গ্রুপ ‘সি’-তে আছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব,তিনবারের(সর্বোচ্চ) স্বাধীনতা কাপ জয়ী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গ্রুপ ‘ডি’-তে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস,চট্টগ্রাম আবাহনী,বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
আগামী ২৭ নভেম্বর শুরু হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ হবে ১৮ ডিসেম্বর। সাফ অ-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেই কমলাপুর স্টেডিয়ামে চলবে স্বাধীনতা কাপ।