জয় দিয়েই স্বাধীনতা কাপ শুরু করলো টুর্নামেন্টের অন্যতম হট ফেভারিট শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আধিপত্য বিস্তার করে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ধানমন্ডির জায়ান্টরা। শেখ জামালের হয়ে গোলের দেখা পেয়েছেন ওতাবেক, সলোমন কিং ও সোহানুর রহমান। পেশাদার এবং সার্ভিসেস দলের মধ্যে যে পার্থক্য সেটা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে আজকের ম্যাচে।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে দুই বিদেশিকে নিয়ে মাঠে নামে শেখ জামাল। অসুস্থ্যতার কারণে গাম্বিয়ান সুলায়মান সিল্লাহ এবং এখনো ঢাকায় না আসায় নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেদু ম্যাথিউ ছিলেন না শেখ জামালের একাদশে। এছাড়াও নৌবাহিনীর স্কোয়াডে থাকায় খেলেননি রায়হান হাসান ও শাকিল আহমেদ। দলবদলের সময়কার আর্থিক বিরোধ নিষ্পত্তি শেখ জামালের হয়ে মাঠে নামেন বসুন্ধরা কিংসের সাবেক ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান। পাশাপাশি শেখ জামালের হয়ে প্রথমবারের মতো পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় কানাডা প্রবাসী রাহবার ওয়াহেদ খানের। অপরদিকে বিমানবাহিনীর একাদশে একমাত্র বড় ছিল নাম জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড সুমন রেজা।
শুরু থেকেই বিমানবাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে শেখ জামাল। নিজের অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন রাহবার। সলোমন-ওতাবেকের সাথে জুটি বেঁধে জামালের মিডফিল্ডে ছড়ি ঘুরিয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। গোলের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি করেছেন একটি অ্যাসিস্টও।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে শেখ জামালকে এগিয়ে নেন ওতাবেক। ডি বক্সের বাম পাশ থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শট দূরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন এই উজবেক মিডফিল্ডার। এরপর বেশ কিছু আক্রমন করেও আর গোলের দেখা পায়নি শেখ জামাল। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ম্যানুয়েল সায়েজ শিষ্যরা। তবে বিরতি থেকে ফিরেই বিমানবাহিনীকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় ২০২০-২১ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের রানার্স আপরা। ৫২তম মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে রাহবার খানের বাড়ানো থ্রু বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সলোমনের উদ্দেশ্যে কাট ব্যাক করেন ওতাবেক। বক্সের মধ্যে থেকে দেখে শুনে ডান পায়ের প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই গাম্বিয়ান। মিনিট দুয়েক বাদেই তৃতীয় গোলের দেখা পায় জামাল, এবার স্কোরশিটে নাম লেখান সোহানুর রহমান। রাহবার খানের পাস থেকে একক প্রচেস্টায় বক্সের মধ্যে ঢুকে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান এই মিডফিল্ডার। ৫৮ মিনিটে ওতাবেকের দূরপাল্লার শট ঝাপিয়ে রক্ষা করেন বিমান বাহিনী গোলরক্ষক মজনু মিয়া। ৬৫ মিনিটে আবারো অল্পের জন্য গোলের দেখা পাননি ওতাবেক, তাঁর ফ্রিকিক ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে।
পুরো ম্যাচে বলার মতো তেমন কোনো আক্রমন করতে পারেনি বিমানবাহিনী। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে জামাল ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে একক প্রচেস্টায় বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন সুমন রেজা। নিয়ন্ত্রণ রেখে শট নিলেও সাইড বারের পাশ দিয়ে বল বাইরে চলে যায়।
বাকি সময়ে ম্যাচে আর কোন দল গোলের দেখা না পেলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এই জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শেখ রাসেলের সমান হলেও গোল গড়ে গ্রুপ বি’র শীর্ষে শেখ জামাল। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল গড়ে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। এর আগে স্বাধীনতা কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।