সময়টা ছিল ২০০৭ সাল। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনীতে যোগ দিয়েছিলেন মিডফিল্ডার প্রাণতোষ কুমার দাস। এরপর থেকে ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় কাটিয়েছেন আকাশী-নীল ডেরায়। ২০০৯ আর ২০১১ মৌসুমে ছিলেন আবাহনীর অধিনায়ক। ২০১০ সালে জিতেছেন শেখ কামাল স্বর্ণপদক। আবাহনী ও প্রাণতোষ কুমার দাস অনেকটা সমার্থক হয়েই উঠেছিল।
অবশেষে প্রিয় ক্লাবটি থেকেই ফুটবলার হিসেবে জার্সি তুলে রাখলেন। স্বাধীনতা কাপ ফাইনালের আগে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রাণতোষকে বিদায় জানায় ফুটবলাঙ্গন। তার বিদায়বেলায় সতীর্থ ফুটবলাররা এসেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, আবাহনী ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থা প্রাণতোষকে ফুল দিয়ে বিদায় জানায়। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে প্রায় ২৭ বছরের দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন প্রাণতোষ। বসুন্ধরার বিপক্ষে স্কোয়াডে ছিলেন না প্রাণতোষ। তারপরও অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছিলো তার হাতে। মাঠে নামার আগে আবাহনীর সব ফুটবলারের গায়ে ছিলো তার ‘৮‘ নম্বর জার্সি। সবমিলিয়ে প্রাণতোষকে মনে রাখার মতো বিদায় দিলো আকাশী-নীলরা। তার ছোঁয়া হলো স্বাধীনতা কাপও।
১৯৯৪ সালে বিমানকাপ অ-১৪ ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু। এরপর খেলেছেন খুলনা জেলা, ভিক্টোরিয়া ও মোহামেডানের জার্সিতে। অবশেষে দীর্ঘ ২৭ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ৩৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার। বুট জোড়া তুলে রাখলেও ফুটবলের সাথেই থাকছেন আবাহনীর ঘরের ছেলে প্রাণতোষ। ইতোমধ্যেই এএফসি-সি লাইসেন্স শেষ করেছেন, নতুন ক্যারিয়ার গড়তে চান কোচিংয়ে। আবাহনীর ‘প্রাণ’ প্রাণতোষ ফিরবেন আকাশী-নীলদের কোচিং প্যানেলের সদস্য হয়ে। ফুটবলার হিসেবে প্রাণতোষের বিদায়টা ট্রফি জয় দিয়েই রাঙিয়ে নিয়েছে ধানমন্ডির জায়ান্টরা। এরই সাথে দীর্ঘ ৩১ বছর পর স্বাধীনতা কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে আবাহনী লিমিটেড৷