বার্নলি ফিরেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। টার্ফ মুর স্টেডিয়ামে খেলা শেষের বাঁশি বাজার আগেই শুরু হয়ে যায় উৎসবের আমেজ। তবে তাদের উদযাপন যেন রূপ নেয় বিশৃঙ্খলায়। শেফিল্ড ইউনাইটেডের খেলোয়াড়দের ওপর চড়াও হন বার্নলির কিছু সমর্থক। বিশেষ করে বাংলাদেশের হামজা চৌধুরীকে লক্ষ্য করে তাদের মন্তব্য করতে দেখা যায়।

বার্নলির সমর্থকরা আনন্দ প্রকাশের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে অপমানজনক মন্তব্য করে। কিছু সমর্থক তো হামজার দিকেই তেড়ে যান। বার্নলির কয়েকজন খেলোয়াড়ও এসময় হামজার সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ম্যাচে হার পরও প্রথমে নিজেকে সামলে রাখলেও একসময় উত্তেজনায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন হামজা। তিনিও প্রতিক্রিয়ায় এগিয়ে যান দর্শকদের দিকে। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হওয়ার আগেই একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসে তাকে সরিয়ে নেন। হামজার সতীর্থরাও দ্রুত এগিয়ে এসে তাকে নিরাপদে মাঠ থেকে বের করে নেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেডের ম্যানেজার ক্রিস ওয়াইল্ডার এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,

ম্যাচ শুরুর আগে রেফারি আমাদের জানিয়েছিলেন যে, নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের সুরক্ষা দেবে। কিন্তু তারা পুরোপুরি গায়েব হয়ে গিয়েছিল। শেষের দিকে পরিস্থিতি বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল, যখন কিছু লোক মাঠে ঢুকে নানা রকম আচরণ করছিল। আমি বুঝি, আবেগ তুঙ্গে ছিল, কিন্তু আমাদের সুরক্ষা দেওয়া হয়নি—না ক্লাবের পক্ষ থেকে, না নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষ থেকে। রেফারিও এটা দেখেছেন, আমি তার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। যখন ৪০-৫০ জন লোক একসঙ্গে আপনার দিকে ছুটে আসে, চিৎকার করে, এবং নানা ধরনের আচরণ করে, তখন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসা সত্যিই কঠিন।

এই ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে হারে শেফিল্ড ইউনাইটেড। এতে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে ওঠার সম্ভাবনা জটিল হয়ে গেছে হামজাদের জন্য। শেষ পাঁচ ম্যাচে চারটি হারার পর এখন তাদের লড়তে হবে প্লে-অফের নকআউট পর্বে। সেই পর্ব থেকেই ঠিক হবে শেফিল্ডের ভাগ্য—তারা পরের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলবে কি না।

Previous articleঅবনমন হলো হামজার মূল দল লেস্টার সিটির

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here