বাংলাদেশের জার্সিতে খেলবেন হামজা চৌধুরী – এই গুঞ্জন বেশ অনেক দিন ধরেই চলছে। সম্প্রতি হামজার বাংলাদেশ দলে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে আছে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও ইংল্যান্ড এফএ থেকে এনওসি পেলেও ফিফা থেকে চূড়ান্ত অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় হামজা। তবে আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। হামজাকে খেলানোর ব্যবস্থা করতে নাকি ফিফায় যাচ্ছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়াল!
কিছু ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে পোস্ট করার পর বিষয়টি দ্রুতই ছড়িয়ে যায়। সবাই আশায় বুক বাঁধেন যে নতুন সভাপতির হাত ধরে এবার কাঙ্ক্ষিত সুখবর আসছে। কিন্তু বিশ্বের কোন ফেডারেশনের সভাপতি এই ধরনের কাজে ফিফায় যান না। কারণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ফেডারেশন থেকে কোন কর্মকর্তা উপস্থিত হলেই হয়। তাই এই বিষয়টি নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়। অবশেষে এই বিষয়টি স্রেফ গুজব বলে জানিয়েছেন তাবিথ আওয়াল। নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, “ফিফা থেকে হামজা চৌধুরীর প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস পাওয়া ও আমাকে জড়িয়ে এই মিথ্যা তথ্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আমি দেশের গণমাধ্যমকর্মী ও জনগণকে জানাতে চাই, বাংলাদেশের হয়ে হামজা চৌধুরীর খেলার সুযোগের বিষয়ে বাফুফে প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে। কিন্তু এই ফটো কার্ডে উল্লেখ করা ঘটনাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আমি সবাইকে ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি। একই সাথে এমন আনঅফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ থেকে ছড়ানো গুজব সম্পর্কে সচেতন এবং এগুলো আমলে না নেওয়ারও অনুরোধ করছি।”
বাংলাদেশের জার্সিতে হামজাকে খেলাতে বেশ অনেকদিন ধরেই কাজ করছে বাফুফে। ইতিমধ্যেই বাফুফের সহায়তায় বাংলাদেশি জন্মসনদ ও পরবর্তীতে পাসপোর্ট পেয়েছেন হামজা। ইংল্যান্ড এফএ থেকেও তার জন্য ছাড়পত্র নিয়েছে বাফুফে। এখন শুধু ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
গত সপ্তাহে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছিলেন, ফিফা আরো কিছু কাগজপত্র চেয়েছে। সেগুলো সংগ্রহ করে ফিফায় পাঠিয়েছেন তারা। যেকোনো সময় ফিফার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে যাবেন হামজা। তার মধ্যে আজ সভাপতিকে ঘিরে এমন গুজব সাধারণ সমর্থকদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। তাই এসব গুজবের বিষয়ে সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন তাবিথ আওয়াল।