শক্তিশালী চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও পরাজয় সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। নিয়মিত অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে ছাড়াই একাদশ সাজিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রথম গারো সম্প্রদায়ের অধিনায়ক হয়ে মাঠে নামেন শিউলি আজিম। স্বাগতিকরা দারুণ নৈপুণ্য দেখালেও চাইনিজ তাইপের কাছে ১-০ গোলে হেরে মাঠ ছেড়েছে।

১৭ মিনিটে তাইপে এগিয়ে যায়। বক্সের ভেতরে লিনের কাটব্যাক থেকে সু ইউ হুসুয়ান ৬ গজের কোনা থেকে গোলকিপারের পাশ দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। ১৯ মিনিটে মনিকা চাকমা দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বক্সে ঢুকে জোরালো শট নিলেও তা গোলকিপারের তালুতে জমা পড়ে। ২৬ মিনিটে স্বপ্না রানীর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। তিন মিনিট পর মুনকি বক্সের ভেতরে থেকে আক্তারের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি।

বিরতির পরও আধিপত্য ধরে রাখে বাংলাদেশ। ৬১ মিনিটে স্বপ্না রানীর কর্নারে শামসুন্নাহারের হেড পোস্টের পাশ দিয়ে যায়। ৬৯ মিনিটে মনিকার জোরালো শট অনেক ওপর দিয়ে যায়। পরের মিনিটে সতীর্থের ক্রসে শামসুন্নাহার লক্ষ্যে ঠিকমতো হেড করতে পারেননি। বল চলে যায় দূরের পোস্ট দিয়ে বাইরে। ৭৮ মিনিটে সাবিনা নামেন। নেমেই সেটপিস থেকে একের পর এক আতঙ্ক ছড়ান। আর গোল না হওয়ায় হার সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

নারী ফুটবল দলের নতুন কোচ পিটার বাটলার। মাত্র মাস দু’য়েক দায়িত্ব নিয়েছেন দলটির। তাই অনেক কিছুই তার পুরোপুরি নখদর্পণে আসেনি। এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে রয়েছেন। প্রথম ম্যাচে ডিফেন্স নিয়ে একটু পরীক্ষায় গিয়ে বড় ব্যর্থতায় পড়েছিলেন। আজও করেছেন তবে মনিকারা ভালো খেলায় কোচ সমালোচনা থেকে উতরে গেছেন। তাই ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোচ খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসিয়ে বলেন,

‘গোল হজমের পর মেয়েরা যেভাবে খেলেছে, যেভাবে পরিকল্পনামতো খেলে ম্যাচের ধারা বদলে দিয়েছে, সেটা সত্যি অসাধারণ। ওরা আসলে ভয় পায়নি এই ম্যাচে। ওদের পারফরম্যান্সে সত্যি খুশি আমি।’

কোচ দিলেন কড়া বার্তাও,

’সানজিদা অসুস্থ ছিল। সাবিনার চেয়ে ওর বয়স কম। আমি আসলে লিগের পারফরম্যান্স দিয়ে এদের বিচার করছি না। যখন ১২-০, ১৫-০, ১৬-০ গোলের ম্যাচ হয়…এটা ভালো কিছু নয়। আপনি শিখবেন এই ম্যাচগুলো (চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ম্যাচ) থেকে। সানজিদাকে কাজ করতে হবে, মাসুরাকেও কাজ করতে হবে। যেটা বলব, তারা যদি সেটা অনুসরণ করে তাহলে দারুণ, কিন্তু যদি অনুসরণ না করে, তাহলে তাদের জায়গা নেওয়ার লোক আছে। আমার কাছে কোনো ফেভারিটিজম, নেপোটিজম, এসব নেই।’

Previous articleসাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীপ’ অক্টোবরে
Next articleবাংলাদেশে পৌঁছেছে সকারুজরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here