আবারো তীরে এসে তরী ডুবলো বাংলাদেশের। আরো একবার দর্শকদের স্বপ্ন দেখিয়ে হতাশ করলো জামাল ভুঁইয়ারা। শ্রীলঙ্কায় চার জাতি আমন্ত্রণমূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট মাহিন্দ রাজাপক্ষ কাপে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখার পরও ফাইনালের আগেই বিদায় নিলো বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেখানে অন্তত ড্র বা ১ পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল সেখানে শেষ মিনিটে গোল হজম করে টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিলো বাংলাদেশ। অপরদিকে বাংলাদেশকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল স্বাগতিকরা।
ফাইনালে যাওয়ার এমন সুবর্ন সুযোগ নষ্ট করে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ মারিও লেমোস। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে লেমোস বলেন, ‘শ্রীলঙ্কাকে ধন্যবাদ। তারা এই ম্যাচ জয়ের যোগ্য। তারা কঠোর পরিশ্রম করে খেলেছে। অনেকটা সময় ১০ জনের শ্রীলঙ্কা দলকে পেয়েছিলাম আমরা, কিন্তু আমি মনে করি আমরা চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। তারা অনেক সুযোগ তৈরি করেছিল। অবশ্যই পেনাল্টি এবং লালকার্ড ম্যাচ বদলে দিয়েছিল। আমরাও কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলাম, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।’
সিশেলস ম্যাচের মতো শ্রীলঙ্কা ম্যাচেরও শেষ দিকে এসে গোল হজম করে আবারও মনোযোগের ঘাটতির কথা বললেন লেমস, ‘এটা মনোযোগের কমতি। সত্যি বলতে শেষ মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছিল কিছু একটা হতে যাচ্ছে। আমরা কেনো যেনো থেমে গিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম আমরা জিততে যাচ্ছি। সেই মুহূর্তে ওটা (পেনাল্টি) হলো। শ্রীলঙ্কা গোলের জন্য মরিয়া ছিল এবং ওই সময় আমাদের ভাবভঙ্গি যেমন হওয়ার কথা ছিল, তেমন ছিল না। আমরা স্রেফ দেখছিলাম এবং ম্যাচ শেষের অপেক্ষা করছিলাম। যখন আপনি শেষ মুহূর্তে এমন কিছু করবেন, তখন হারবেন।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচকে এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সবচেয়ে বাজে ম্যাচ হিসেবে আখ্যা দিয়ে লেমোস বলেন, ‘তিন ম্যাচের মধ্যে আজকেই আমাদের পারফরম্যান্স সবচেয়ে বাজে ছিল। আমাদের সবার এগিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক জড়তা ছিল। এ কারণে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি।’
সাফের ব্যার্থতা ঘুচানোর লক্ষ্য নিয়ে শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ফাইনাল খেলার একেবারে কাছে থেকেও শেষ পর্যন্ত ফাইনালের আগেই বিদায় নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের। ফাইনাল খেলতে না পারার হতাশা সঙ্গী করে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরবেন জামাল ভূঁইয়ারা।