প্রথম ম্যাচে সিশেলসের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত ড্রয়ের পর মালদ্বীপের সাথে লড়াইয়ের জন্যে নিজেদের পুনরায় তৈরি করে নিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। তুলনামূলক ছোটদলের বিপক্ষে ড্রয়ের হতাশা কাটিয়ে উঠতে আজ সকালে রিকভারি সেশনে অংশ নেয়। আজ সকাল ১০:৪৫ থেকে ১১:৩০ পর্যন্ত হোটেলের সুইমিংপুলে রিকভারি সেশন সম্পন্ন বাংলাদেশ দল।
সিশেলসের ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড সুমন রেজা বলেন, ‘ঢাকার মাঠ আর এই মাঠের মধ্যে পার্থক্য আছে। ঢাকার মাঠে বৃষ্টি হলে কাদা হয়,কিন্তু ওই মাঠে খেলা যায়। তবে এই মাঠটা বালিযুক্ত মাঠ। তাই বৃষ্টি হওয়ায় পা’টা টেনে টেনে ধরতেছিলো। প্রথমার্ধে আমরা বল দিয়ে নিয়ে খেলতেছিলাম,আমাদের মধ্যে ক্লান্তিভাব ছিলো না। মনে হয়েছিলো সহজেই তিন-চারটা গোল সহজে দিতে পারবো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের একটা সময় এসে আমাদের ক্লান্তির ভাব দেখা দেয়,পা ধরে আসতেছিলো।এতে আমাদের সমস্যা হয় আর এই সুযোগে তারা আমাদের গোল দিয়ে দেয়।’
নিশ্চিত জয়ের ম্যাচের শেষ ফলাফল ড্র। গোল করার অনেক সুযোগ হয়েছে হাত ছাড়া এই প্রসঙ্গে সুমন বলেন, ‘আমরা সবাই জয়ের জন্যেই খেলি। আমরা জয়ের জন্যেই মাঠে নেমে ছিলাম। আমরা র্যাংকিংয়ে আগে ছিলাম এবং ভালো খেলতে ছিলাম। মাঠের সমস্যা ছিলো এটা বলবো না। আমরা গোলের যে কয়েকটা চান্স ক্রিয়েট করছি তাতে সহজেই তিন-চারটা গোল হতো। ভাগ্য সহায় ছিলো না বলতেই হবে।’
বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ মালদ্বীপের বিপক্ষে। সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে এই মালদ্বীপের কাছেই বাংলাদেশ দুই গোলে পরাজিত হয়েছিলো। তাই মালদ্বীপের সাথে ম্যাচটিকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সিশেলসের একমাত্র গোলস্কোরার মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে যদি আমরা তিন পয়েন্ট পেতাম তাহলে আমাদের জন্যে একটা এডভান্টেজ থাকতো। কারণ আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপ ড্র করছে। এখন সবারই চারদলের এক পয়েন্ট করে আছে। তাই আমরা যদি পরবর্তী ম্যাচে মালদ্বীপের সাথে জিততে পারি ইনশাআল্লাহ আমরা এগিয়ে যাবো।’
মালদ্বীপে বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ। এই ম্যাচের জন্যে একদিনই মাত্র সময় পেয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা৷ তাই ম্যাচকে সামনে রেখে রিকভারি সেশনের পাশাপাশি মাঠের অনুশীলনেও ঘাম ঝরিয়েছে বাংলাদেশ দল। আজ বিকাল ৫:০০ টা থেকে ৬:০০ টা পর্যন্ত অনুশীলন করেছে মারিও লেমোসের শিষ্যরা।
আগামীকাল বিকাল ৪:৩০ টা মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয় দুইদলের জন্যেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ম্যাচের জয়-পরাজয় ফাইনালে কোয়ালিফাই করার অর্ধেক ভাগ্য নির্ধারণ করে দিবে।