এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নামে ভারে বাকি তিন প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষ বা ভেবে নিজেদের খেলায় মনোযোগ দেওয়ার কথা বারবার বলছিলেন দলের অধিনায়ক, কোচ। প্রথম ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ছড়ি ঘোরাতে পারেনি বিশ্ব ফুটবলের ৮৯তম দল বাহরাইন। আর দ্বিতীয় ম্যাচে তো ফিফা রেংকিংয়ে ১৩৪তম স্থানে থাকা তুর্কমেনিস্তানকে একপ্রকার নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ড্রয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের হারে আবারো ফুটে উঠেছে সেই পুরনো গোল মিসের মহড়া।
তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে সাধ্যমতো লড়াইয়ে হার দেখলেও তাতে মিশে ছিল গর্বও। শুরুতে গোল হজম করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা শোধ দিয়েছে। ভাগ্যদেবী সহায় না হওয়া নিজেদের ভুল, সবমিলিয়ে শেষের দিকে হয়েছে সর্বনাশ। বৃষ্টিভেজা মাঠে উজ্জীবিত ফুটবল খেলেও হার নিয়ে কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল ন্যাশনাল স্টেডিয়াম ছাড়তে হয়েছে। শেষভাগে গোল হজম করায় স্বাভাবিকভাবে তা সবার যন্ত্রণার কারণ হওয়ারই কথা। অল্পের জন্য ড্র বঞ্চিত হওয়ায় অনেকের ঘুমও হয়নি ঠিকমতো। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পাঠানো ভিডিও বার্তায় গোলরক্ষক কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্য্য জানান, “আমরা সারারাত ঘুমাতে পারিনি। অথচ তখন মনে হচ্ছিল, এই বুঝি জিতে গেছি। এই ম্যাচ হারবো ভাবতেও পারছি না।”
তবে হারা ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। তার সাথে দলের ফুটবলারদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করাকেও ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন তিনি, “সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো ফুটবল নিয়ে যে আশা দেখা যায়, তা কিছুটা হলেও উপহার দেওয়া গেছে। আমাদের মানুষ কিন্তু ভালো ফুটবল চায়। হার-জিত ম্যাচের অংশ, তা থাকবে। আমাদের খেলোয়াড়রা তিনটা ম্যাচেই সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছে।”
ইন্দোনেশিয়া, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান ম্যাচের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে গিয়ে বিপ্লবের কাছে মনে হয়েছে প্রাপ্তি অনেক। ভবিষ্যতে দল আরও ভালো খেলবে বলে তার বিশ্বাস, “অবশ্যই ভালো পারফরম্যান্স। শেষ তিনটা ম্যাচ ভালো খেলেছি। আমাদের ভালো কিছু প্রাপ্তি আছে। ভবিষ্যতে সাফে যেসব দল আছে, তাদের বিপক্ষে আরও ভালো ফুটবল খেলতে পারবো্। যে সিস্টেমে আমরা এগুচ্ছি, খেলোয়াড়রা শতভাগ দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষও ফুটবলকে এত ভালোবাসে যে, এখন সময় এসেছে তাদের কিছু দেওয়ার।”
দুই ম্যাচেই হেরে আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপে খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে গাণিতিকভাবে মৃদু সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের, তবে সেটাও অনেক যদি কিন্তু ওপর। তবে বাস্তবিক অর্থে আরো একটি হতাশা নিয়েই দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার ‘ই’ গ্রুপের স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে জামাল ভুঁইয়ারা।