আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও প্রফেশনাল লীগ ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। নামের পাশে এতো বড় দায়িত্ব নিয়েও যেনো তিনি  খামখেয়ালিমনা এক ব্যক্তি। গত ফেডারেশন কাপে দিকে চোখ দিলেই তা সহজেই লক্ষ্য করা যায়। ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে সাইফ স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হয় ঢাকা আবাহনী। ম্যাচের বিতর্কিত পেনাল্টি নিয়ে রেফারির পক্ষপাত সিদ্ধান্ত নিয়ে তার উদাসীন উত্তর যেনো মনে করিয়ে দেয় তিনি যে চেয়ারে বসেছেন তিনি কি তার যোগ্য দাবিদার নাকি তিনি কোনো এক ঠুঁটো জগন্নাথ।

ক্লাবগুলো যখন বিদেশি রেফারি আনতে দাবি জানায়,তখন তিনি হয়ে উঠেন একনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তিনি চান দেশী রেফারি দিয়েই ম্যাচ পরিচালনা করতে। তার এইসব বক্তব্য শুনলে আপনি হয়তো চোখ বুজেই বলেন সালাম মুর্শেদীর মতো এমন দেশপ্রেম আর কয়জনের মধ্যেই আছে। কিন্তু সেখানেই উঠে প্রশ্ন? দেশীয় রেফারি যখন সঠিক সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে পক্ষপাত সিদ্ধান্তে মাতোয়ারা সেখানে তো অন্য ক্লাবগুলো বিদেশি রেফারির দাবি উঠানো ন্যায়সংগত বলা চলে।

রেফারি বাদেও লীগ ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের সাথে ক্লাবগুলোর সম্পর্কের দুরত্ব যেনো সাহারা মরুভূমির চেয়েও দীর্ঘ। কোনো ক্লাব যখন টুর্ণামেন্টে নিয়মের অসংগতির অপবাদ দিয়ে টুর্ণামেন্ট থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয় তখন সালাম মুর্শেদীর প্রত্যুত্তর এগুলো ক্লাবের নিজস্ব সিদ্ধান্ত ও তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এইসকম হাস্যকর ও অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্যের জন্যে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো রহস্য চরিত্র তাকে নির্দ্বিধায় দেওয়া যেতে পারে।

সালাম মুর্শেদীর মরিচাধরা কার্যক্রমের জন্যে সকল দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তিনি আঙ্গুল দিয়ে তাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি কোনো কিছুতে ছাড় দিতে নারাজ। তবে লীগ পরিচালনা দায়িত্ব তো প্রফেশনাল লীগ ম্যানেজমেন্ট কমিটির উপরই বর্তায়।কিন্তু সে দায়িত্বে তো বরাবর উদাসীন সালাম মুর্শেদী। তবে কে এই অনিয়ম থেকে ঘরোয়া লীগকে বাঁচিয়ে বের করে আনবে। এই মৌসুমে আবারো শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ। এই মৌসুমে সকল ঠিকভাবে সম্পন্ন হবে নাকি শুধু প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির ফারাকটাই বাড়বে।

Previous articleতবে কি হারিয়েই যাবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র?
Next articleবাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন নতুন কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here