ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ ‘স্থগিত’ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় আলোচনার ঝড়। ম্যাচে স্কোরলাইন তখন ১-১, কিন্তু বসুন্ধরা কিংসের ফয়সাল আহমেদ ফাহিম লাল কার্ড পাওয়ায় পরবর্তী অর্ধে তারা খেলত ১০ জন নিয়ে। ফলে, সম্ভাবনার পাল্লা কিছুটা হলেও ঝুঁকে পড়েছিল আবাহনীর দিকে। তাই ম্যাচ স্থগিতের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু।

ম্যাচ স্থগিত হওয়ার পর রুপুকে দেখা যায় স্পষ্টভাবে হতাশা প্রকাশ করতে। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন,

সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রেফারি। একটা ম্যাচ যখন পরিচালিত হয়, তখন সেটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক রেফারি। তিনিই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। টিম সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। যদি আলো নিয়ে সমস্যা থাকে, সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু এখানে কি আলো ছিল না? সেটা আপনাকে বিবেচনায় নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন,

“আমাদের এখানে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই। সবকিছু বাইলজ অনুসরণ করা হয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই। আমরা যখন এখানে খেলতে এসেছি, বাইলজ মেনে নিয়েই এসেছি। এখানে বাইলজ অনুসরণ করতে হবে, এটাই বাস্তবতা। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, যে আলো ছিল, তা নিয়ে হয়তো খেলা চালিয়ে যাওয়া যেত।

ম্যাচ কবে আবার মাঠে গড়াবে সিদ্ধান্ত দেবে বাফুফের লিগ কমিটি। ম্যাচ কমিশনার তৈয়ব হাসানও বল ঠেলে দিয়েছেন লিগ কমিটির কোর্টে। তিনি বলেন,

“এখানে লিগ কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে (কবে ফের ফাইনাল হবে), আলোক স্বল্পতার ব্যাপারে জুরিডিকশন রেফারি, এই ক্ষমতা তার। সে যখন মনে করবে, তার। আমরা রেফারিকে বলিনি, আপনি এখন শুরু করবেন, এখন শেষ করবেন। যেকোনো সময় খেলা বন্ধ করতে পারবেন রেফারি। খেলা তো তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করা যাবে না। রেফারিকে এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি নিয়েছেন।”

রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়েই তাই আপাতত থেমে আছে এই মর্যাদাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচটি। এখন অপেক্ষা, লিগ কমিটি কবে নতুন তারিখ ঘোষণা করে এবং আবার কবে ফেডারেশন কাপ ফাইনাল মাঠে গড়ায়।

Previous articleআলো স্বল্পতায় স্থগিত হলো ফেডারেশন কাপের ফাইনাল, নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচে সমতা
Next articleকাল থেকে শুরু চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল লিগের দ্বিতীয় পর্ব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here