দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল আসর ‘সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ’। সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের এবারের আয়োজক মালদ্বীপ। আগামী ১লা অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই টুর্ণামেন্ট। ফিফার নিষেধাজ্ঞার কারণে পাকিস্তান ও কোভিড পরিস্থিতির কারণে ভুটান অংশগ্রহণ না করায় এবারের সাফে বাংলাদেশ সহ দল রয়েছে ৫ টি। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য ৪টি দেশ হলো ভারত,নেপাল,মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা।
সাফ’কে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দল জমা দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আমাগী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পিং শুরু হবার কথা রয়েছে। সাফে এবার টুর্ণামেন্টে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মুখোমুখি হবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল ফাইনাল খেলবে। সাফের ফাইনাল খেলতে হলে কমপক্ষে ১০ পয়েন্ট লাগবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তিনি এই ব্যাপারে আশাবাদীও। জামাল বলেন, ‘ফাইনাল খেলতে অবশ্যই ১০ পয়েন্ট লাগবে। অবশ্যই আমাদের সুযোগ আছে। আমরা কিরগিজস্তান ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচে খেলে এসেছি। তারা র্যাংকিংয়ের খুব উপরের দল, এছাড়া তারা শক্তিশালীও। কিন্তু সাফের দল তুলনামূলক কম শক্তিশালী। সেই হিসেবে আমাদের সুযোগ রয়েছে।’
তিনজাতিক টুর্ণামেন্টে সম্পূর্ণ নতুন ফরমেশনের খেলানোর চেষ্টা করেছেন কোচ জেমি ডে। তবে তাতে সাফল্যের বিপরীতে এসেছে ব্যর্থতা। তাই উক্ত ফরমেশন থেকে সরে এসেছেন কোচ। এই প্রসঙ্গে জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘টুর্ণামেন্টে আমরা নতুন ফরমেশনে খেলেছি। কোচ দেখতে চেয়েছেন আমরা তাতে পারি নি কিনা। তিনি মনে করছেন এই ফরমেশন হবে না কারণ কোনো টিম যখন রক্ষণাত্মক খেলে তখন অন্যটিমগুলো ৪-৩-৩ খেলে নাহয় ৪-৫-১ খেলে। সেখানে আমরা ৩-৪-৩ খেলেছি। তা উক্ত ফরমেশন বাদ দিয়ে আমাদের মূল ফরমেশনে ফিরে আসবো।’
তিনজাতিক টুর্ণামেন্টে দুই প্রবাসী ফুটবলার রাহবার খান ও তাহমিদ ইসলাম বাংলাদেশ স্কোয়াডে ছিলেন। তাহমিদ সুযোগ না পেলেও রাহবার খেলেছিলো দুই ম্যাচ। রাহবারের সম্পর্কে জামাল বলেন, ‘তার আরো সময় লাগবে। সে ম্যাচে অল্প সময়ের মধ্যে হাঁপিয়ে উঠেছিলো। তাই তার আরো সময় দরকার।’
এছাড়া সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলে ডাক পাওয়া নাইজেরিয়ান বাঙ্গালী এলিটা কিংসলের ব্যাপারেও আশাবাদী জামাল ভূঁইয়া। এলিটার সংযোজন দলে একটা অন্য মাত্রা তৈরি করবেন বলে মনে করেন তিনি। এলিটা দলের নাম্বার নাইনের জায়গা পূরণ করবেন বলেও মনে করেন জামাল।