বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে আসার পর অসমাপ্ত লীগ মাঠে গড়িয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছিলো ভিন্ন। কিছুটা দ্রুত সময়ের মধ্যে লীগ বাতিল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। খেলা মাঠে না গড়ানোর হতাশার পাশাপাশি আরেকটি বড় শঙ্কা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীদের মাঝে।
ফুটবল মৌসুমের বাকি অংশ পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় ২০২১ সালের এএফসি কাপে বাংলাদেশের একটি কোটা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস খেলার সুযোগ পাবে। লিগ সম্পূর্ণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দলের অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ফুটবল মৌসুমের বাকি অংশ না হওয়ায় ২০২১ সালের এএফসি কাপে বাংলাদেশের একটি কোটা নষ্ট হচ্ছে কিনা এটিই তাদের মনে বড় প্রশ্ন।
স্বস্তির খবর হিসেবে এসেছে, এএফসি সকলের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত থাকায় ২০২১ সালে কিছুটা ছাড় দিতে চায়। তাই ২০২১ সালের এএফসি কাপ নিয়ে দেশগুলোর ভাবনা এবং পরিকল্পনা কি তা জানতেও চেয়েছেন তারা। সেক্ষেত্রে বাফুফে’র প্রস্তাব করা ক্লাবই হয়তো এএফসি কাপে যাবে এমনটাই আশা করা যায়।
তবে বাফুফে যদি দ্বিতীয় দলের নাম প্রস্তাব করে তবে তা করবে কিসের ভিত্তিতে? এই মৌসুমে টুর্নামেন্ট হয়েছে শুধু ফেডারেশন কাপ যার চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এবং রানার্সআপ রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। ফলে বাফুফে’র সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের কাছে দ্বিতীয় দল হিসেবে রহমতগঞ্জকে বিবেচনা করা হবে কিনা নাকি অন্য কিছু তারা দেখবেন এমনটা জানতে চাইলে এক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, ‘এএফসি কাপ খেলার যোগ্যতা কেবল যে ফেডারেশন কাপ বা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া তা কিন্তু নয়। আরেকটি শর্ত হচ্ছে এএফসির লাইসেন্সকৃত ক্লাব হওয়া। বসুন্ধরা কিংস আর আবাহনী চলমান এএফসি কাপে লাইসেন্সকৃত ক্লাব হিসেবেই অংশ নিয়েছে। ২০২১ সালের জন্য এএফসি আবার যখন লাইসেসিংয়ের কথা বলবে, তখন আমরা প্রিমিয়ার লিগের ১৩ দলকেই চিঠি দেব।’
তিনি আরে বলেন, ‘যারা কোর্স সম্পন্ন করবে, তাদের মধ্যে থেকে এমন একটি দলের নাম আমরা এএফসি কাপের জন্য পাঠাব, যারা ভালো দল গঠন করে অংশ নিতে পারে। প্রয়োজন হলে এএফসির লাইসেন্স করা সব ক্লাবের সঙ্গে বসে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে দ্বিতীয় দল নির্বাচন করব। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টাই করব যাতে এবারের মতো আগামী বছরও আমাদের দেশ থেকে দুটি ক্লাব এএফসি কাপে খেলার সুযোগ পায়।’