নিজেদের একাদশের তিনজন নিয়মিত ফুটবলার ছাড়াই একাদশ সাঁজিয়েছিলো বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের প্রথম থেকেই কিংসকে পাসিং ফুটবলে চেপে ধরে ওড়িশা এফসি। তবে এটি কিংস বস অস্কারের ট্যাকটিক্স বললেও ভুল হবে না। মাজিয়ার সাথে নিজেরা বল পজেশন ধরে রেখেও যে তিক্ত হারের স্বাদ নিতে হয়েছিলো, আজ ঠিক তার বিপরীত কাউন্টার এট্যাক নির্ভর ফুটবল খেলেছে তারা।

ম্যাচের প্রথম দিকে এলোমেলো ভাবে ফুটবল খেললেও পরে নিজেদের গুছিয়ে নেয় কিংস। কুইক কাউন্টার খেলে আক্রমণে গিয়েছে এবং তাতে সফলও হয়েছে। তবে সুযোগ হাতছাড়া করার বদ অভ্যাসটা ছাড়তে পারে নি এই ম্যাচেও। বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ার সুযোগ থাকলেও ৩-২ গোলের জয় পেয়ে খুশি থাকতে হয়েছে অস্কার ব্রুজনের দলকে।

ম্যাচের প্রথম ৫ মিনিটে বামপ্রান্ত থেকে আক্রমনে যায় বসুন্ধরা কিংস, তবে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ডরিয়েন্টল। বল সরাসরি গোলকিপার আরমিন্দার সিংয়ের হাতে মারেন এই ফুটবলার। ডানপ্রান্ত এবং বামপ্রান্ত দুইদিক থেকেই পাসিং ফুটবল খেলে আক্রমন সাজায় ওড়িশা। খেলার  ১৮ মিনিটেই এর সুফল পায় ভারতের ক্লাবটি, জেরির পাসে সহজ সুযোগ পায় ডিয়াগো মরিচিও। আর তিনি কোনো ভুল না করেই বল জালে পাঠিয়ে দেন তিনি।

এরপর কয়েক দফা চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারছিলো না বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। তবে ম্যাচের ৩৮ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বসুন্ধরা কিংস। বামপ্রান্ত থেকে এগিয়ে যাওয়া রবসনে চিপ করলে হেডে বল জালের ঠিকানায় পৌঁছে দেন মিগুয়েল। সমতায় ফেরার পর প্রথম অর্ধের শেষ মুহুর্তে রাকিবের ক্রস থেকে ম্যাচে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। এবার বল জালে জড়ান ডরিয়েন্টল। তাঁর হেড সহজেই গোলরক্ষক আমরিন্দারকে ফাঁকি দেয় । এতে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে কিংস।

দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় বসুন্ধরা কিংস। রবসনের বাড়ানো বল গোলরক্ষক আমরিন্দারের পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে পাঠান কিংসের নাম্বার নাইন ডরিয়েন্টল। গোল উৎযাপনে জার্সি খুলে ফেলায় হলুদ কার্ডও দেখেন তিনি। ম্যাচের ৬২ তম মিনিটে আবার একটি গোল শোধ করে ওড়িসা। সাকামোটোর বল কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী ফিস্ট করে ফেরানোর পর ফিরতি বলটি ভলিতে গোলে পরিণত করেন জেরি লালবিজওয়ালা।

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ওড়িসার চারজন ফুটবলারকে কাটিয়ে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেন কিংসের অধিনায়ক রবসন, কিন্তু তা গোলবারে প্রতিহত হয়। এরপর ববুরবেগের হেড একবার গোলবারে লেগে এবং পরেরবার গোলরক্ষক তালুবন্দি করলে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হারায় কিংস। কিন্তু ৩-২ স্কোরলাইনে খেলা শেষ হলে এএফসি কাপ ২০২৩ এ প্রথম জয় নিশ্চিত হয় বসুন্ধরা কিংসের এবং এতে করে ঘরের মাঠ কিংস এরেনায় এখনও অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষত রাখলো তারা।

Previous articleঅ্যারেনাতে কিংস-ওড়িশা’র লড়াই!
Next articleওড়িশার বিপক্ষে দলের খেলায় সন্তুষ্ট অস্কার ব্রুজন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here