PC : AFC

কালিঙ্গা স্টেডিয়াম থেকে পয়েন্ট নিয়েই ফিরলো বসুন্ধরা কিংস। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে তারা রুখেদিলো ২-২ গোলে। কিন্তু গোলবার বাঁধা হয়ে না দাড়ালে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে পারতো অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।

সর্তকতার সাথে দুইদলই খেলার শুরুটা করে। উভয়দলই তাদের খেলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলো ছাড় নয় এক বিন্দু। ম্যাচের ১৭ মিনিটে গোল করে মোহনবাগান। কিন্তু ডিমিত্রি পেত্রাটোসের ক্রস থেকে লিস্টন কোলাসোর করা সেই গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। তবে ২৯ তম মিনিটে ঠিকই এগিয়ে যায় মেরিনার্সরা। মাঠের ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সের ভিতর ঢুকে পড়ে হুগো বুমোসের কাটব্যাক থেকে জেসন কামিন্সের বাড়ানো পাসে গোল করেন মোহনবাগানের অস্ট্রেলিয়ান মিডফিল্ডার ডিমিত্রি পেত্রাটোস। তবে লিড বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারে নি তারা। ৩৩ মিনিটের মাথায় রবসনের থ্রু পাস থেকে মোহনবাগানের ডিফেন্ডার হেক্টরকে কাটিয়ে গোল আদায় করে নেন ডরিয়েল্টন গোমেজ। এতে করে সমতা ফিরে পায় বসুন্ধরা কিংস।

©AFC

৩৫ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে দলীয় অধিনায়ক রবসন রবিনহোর রকেট গতির শট গোলবারের লেগে ফিরে গেলে সেই যাত্রায় রক্ষা পায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এভাবে খেলা চলতে থাকায় ১-১ গোলে ড্র দিয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

দ্বিতীয়ার্ধে বসুন্ধরা কিংসকে এ্যাওয়ে জার্সি বদল করে হোম জার্সিতে মাঠে নামতে হয়। মূলত লাইটের কারণে দুই দলের জার্সি কাছাকাছি দেখা যাওয়ায় রেফারির নির্দেশে নিজেদের জার্সি বদল করে তারা। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে প্রথমার্ধের মতো আবারো কিংসের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় বাঁধ সাথে গোলবার। মিগেল ডামাসেনার থ্রু পাস থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে ডরিয়েল্টন গোমেজ, পরবর্তীতে খানিকটা সময় নিয়ে অন টার্গেট শট করেন, তবে বল বারপোস্টে লাগায় গোলের দেখা পায় নি কিংস।

©AFC

৫৪ মিনিটে আশিষ রাইয়ের গোলে ম্যাচে আবারো লিড নিয়ে নেয় মোহনবাগান। মিগেল ডামাসেনার মিস পাসে বলের দখল নিয়ে নেয় ডিমিত্রি পেত্রাটোস। তারপর সেখানে কোনাকুনিভবে পাস করেন আশিষ রাইয়ের কাছে। আশিষ রাই পাস থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বল কিংসের জালে জড়িয়ে দিলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় মেরিনার্সরা।কিন্তু আবারো দ্রুত সমতায় ফিরে কিংস। ৬৯ মিনিটে বক্সের ভেতরে মোহনবাগানের আশিষ রাই রবসনকে ফাউল করলে পেনাল্টি বাশি বাজায় রেফারি। পেনাল্টির স্পট থেকে কিক থেকে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করে ফেলেন বসুন্ধরা কিংস ক্যাপ্টেন রবসন রবিনহো।

পরবর্তীতে রেগুলেশন টাইমের পাশাপাশি ইঞ্জুরি টাইমেও দুইদল প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ চালায় তবে কোন দলই গোল করতে পারে নি। ফলে ২-২ গোলে ড্র হয় ম্যাচটি। ম্যাচের শেষে মোহন বাগান কোচ জুয়ান বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে বিশ্বনাথ ঘোষের সাথে। ঘটনার শুরু ম্যাচের ৮৬ মিনিটে একটি থ্রো ইনকে কেন্দ্র করে। বিশ্বনাথ ঘোষ থ্রো করতে এগিয়ে আসায় তাকে কিছু একটা বলে বসেন জুয়ান, থেমে থাকেন নি বিশ্বনাথও, দিয়েছেন পাল্টা জবাব। এক পর্যায়ে রেফারি জুয়ানকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সর্তক করেন। এর রেশ ধরেই ম্যাচ শেষে মাঠে প্রবেশ করে বিশ্বনাথকে আরো কিছু কথা বলে যান তিনি।

ভারতের মাটিতে গুরুত্বপূর্ণ এই ড্র ঘরের মাঠে এএফসি কাপের পরে দুই ম্যাচে মানসিকভাবে এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের। গ্রুপ থেকে শুধুমাত্র একটি দল যাবে জোনাল সেমিফাইনালে, ফলে এই ড্র গ্রুপের সমীকরণকে জমিয়ে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Previous articleপ্রথমার্ধ শেষে সমতায় কিংস!
Next articleপরের ম্যাচ আমাদের কাছে ফাইনাল!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here