দীর্ঘ একমাসের নির্বাসন কাটিয়ে অবশেষে দলে ফিরছেন শেখ মোরসালিন। গত অক্টোবরে মদকান্ডে জড়িয়ে পড়ার কারণে ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলেও জায়গা হারায় এই তরুণ মিডফিল্ডার। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর নিষেধাজ্ঞা না পেলেও মালদ্বীপের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যাবররার দলে জায়গা হয়নি মোরসালিনের। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া এবং লেবাননের বিপক্ষে দলে আবারো ডাক পেয়েছেন তিনি।
আগামী ১৬ই নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের পর বাছাইপর্বের আরো একটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কিংস অ্যারেনায়।
বাংলাদেশের সামনে বড় দুইটি ম্যাচ, নামেভারে এবং শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকা দুই প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করবে তারা। তাই আগে থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছে ফেডারেশন। সেই প্রেক্ষিতে আসন্ন ম্যাচ দুইটির প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে গতকাল বাফুফে ন্যাশনাল টিমস কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল থেকে ক্যাম্প শুরু হবে। এর ফলশ্রুতিতে আজ দল ঘোষণা করছে ফেডারেশন। সর্বমোট ত্রিশ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। গোলকিপার হিসেবে আছেন মিতুল মারমা, মেহেদী হাসান শ্রাবণ, পাপ্পু হোসেন, মাহফুজ হাসান প্রীতম। ডিফেন্ডাররা হলে বিশ্বনাথ ঘোষ, হাসান মুরাদ, তারিক কাজী, রহমত মিয়া, আলমগীর মোল্লা, ঈসা ফয়সাল, সাকিল হোসেন, সাদ উদ্দিন এবং রিয়াদুল হাসান।
নির্বাসন কাটিয়ে দলে ফিরেছেন মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিন। মোরসালিন ছাড়া দলের বাকি মিডফিল্ডাররা হলো সোহেল রানা, মোহাম্মদ হৃদয়, মুজিবর রহমান জনি, রবিউল হাসান, চন্দন রায়, মোহাম্মদ সোহেল রানা, জামাল ভূঁইয়া, জায়েদ আহমেদ।
দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়েরা হলেন রাকিব হোসেন, সুমন রেজা, রহিম উদ্দিন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, দীপক রায়, আরমান ফয়সাল, মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং রফিকুল ইসলাম।
আগামী ৭ই নভেম্বর এএফসি কাপে বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচ থাকায় কিংসের থাকা জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা মূল দলের সাথে যোগ দিবে আগামী ৯ ই নভেম্বর। পরবর্তী দিন অর্থাৎ ১০ ই নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে হ্যাভিয়ার ক্যাবররা দল।
এতে দেশের মূল দলের সব খেলোয়াড়রা একত্রে অনুশীলন পাচ্ছে না বললেই চলে। ফলে বাংলাদেশ দল বিদেশের মাটিতে তাদের বাছাইপর্বের প্রস্তুতিটা সেরে নিবে।