আগামী ৭ ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সারা দেশেই নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে, বাদ যায়নি সাবেক ফুটবলার এবং ক্রীড়া সংগঠকগণ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শুরু করেছে মনোনয়ন পত্র বিতরণের কার্যক্রম। বেশ কিছু সাবেক ফুটবলার এবং ক্রীড়া সংগঠকরা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।
প্রথমবারের মতো নৌকার মাঝি হতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক এবং ঢাকা আবাহনীর সাবেক ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রপু। তিনি চট্টগ্রাম-১২ আসনের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তার প্রতিপক্ষ হিসেবে আছেন নৌকার আরেক প্রার্থী শামসুল হক চৌধুরী।
নিবার্চনী লড়াইয়ে টিকে থাকতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক । এর আগে তিনি চট্টগ্রাম-১১ এবং চট্টগ্রাম-১২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম-১২ আসনের বর্তমান এমপি। তাই ধারণা করা হচ্ছে তাকে তার পূর্বের চট্টগ্রাম-১১ আসনে স্থানান্তরিত করা হতে পারে। এতে সত্যজিৎ দাস রুপূও চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে যাবেন।
এনারা ছাড়াও রয়েছেন অভিজ্ঞ সংগঠকরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ১০২, খুলনা-৪ আসনের (রুপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া) জন্য মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন। মুর্শেদীর মতোই মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ। আব্দুস সালাম মুর্শেদী খুলনা-৪ ও কাজী নাবিল আহমেদ যশোর-৩ এ দুবারের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
কাজী নাবিল আহমেদের মতো বাফুফের আরেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তিনি ২৬৯ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-২ আসনের জন্য মনোনয়ন প্রার্থী। মানিক নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের একসময়কার সহ-সভাপতি ছিলেন।
মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারীদের মধ্যে তালিকায় রয়েছেন তারকা ফুটবলার আরিফ খান জয়। তিনি নেত্রকোনা-২ আসনের মনোনয়ন প্রার্থী। জয় এর আগেও আওয়ামী লীগের হয়ে লড়েছেন এবং জয়ী হয়েছেন। ২০১৪ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মন্ত্রীসভায় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৮ সালেও তিনি মনোনয়ন প্রার্থী ছিলেন, তবে সেবার মনোনয়ন পান নি। তালিকায় আছেন আরেক তারকা ফুটবলার দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুলও। আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।