এযেনো চুরি নয়,দিনে দুপুরে ডাকাতি। গতকাল উড়িষ্যা এবং বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচে রেফারির এক বির্তকিত সিদ্ধান্তে লাল কার্ড দেখেন কিংসের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আশরোর গাফুরোভ। এতে করে দশজনের দলের পরিণত হওয়ার পাশাপাশি ভেঙ্গে যায় কিংস রক্ষণের দৃঢ়তা। কিন্তু আজ এএফসি নিজেই তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত কিংস-ওড়িষ্যা ম্যাচের হাইলাইটসে সেই ফলাফল বদলে দেওয়া মুহুর্তকে মুছে দিয়েছে।
গতকালের ম্যাচের আগে সহজ সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। নতুন এক ইতিহাস গড়ার প্রেরণা তাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছিলো। ওড়িষ্যার বিপক্ষে শুধুমাত্র ড্র করতে পারলেই কিংস চলে যেতো এএফসি কাপের জোনাল সেমিফাইনালের প্লে-অফ রাউন্ডে।
কিন্তু কিছুতে যেনো কিছুই হওয়ার নয়। সফরকারী হিসেবে ভারত যাত্রার পূর্বেই বরাবরের মতো ভিসা জটিলতার সম্মুখীন হয় বসুন্ধরা কিংস। ভিসা জটিলতার মুখে পড়ে ভারতে ফ্লাইট বিড়ম্বনা এবং হোটেল সমস্যা ছিলো বসুন্ধরা কিংসের জন্য বাড়তি পাওয়া।
এতসবের মাঝেও কিংস ম্যাচে উড়িষ্যার বিপক্ষে লড়াইয়ে নামে। ম্যাচের প্রথমদিকে ছন্নছাড়া কিংস সময় যেতো বাড়তে থাকে ম্যাচে ততই পরিণত হয়ে উঠে। কিংস যখন উড়িষ্যা কে সামলে নিয়েছিলো তখনই কিংসের ডিফেন্সে লাইনে মরণাঘাত করে রেফারীর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। প্রথমার্ধের যোগ করা সময় কিংসের আশরোর গাফুরোভ ওড়িষ্যার আহমেদ জায়োকে ওয়ান ফুটেটেড ট্যাকেল করে। গাফুরোভের ট্যাকেলের পর উড়িষ্যার আরেক মিডফিল্ডার জেরি এসে গাফুরোভকে অতর্কিতভাবে আঘাত করে মাটিতে ফেলে।
গাফুরোভের সাধারণ এই ফাউলে রেফারী সরাসরি গাফুরোভকে লাল কার্ড দেখান, কিন্তু জেরি গাফুরোভের সাথে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণে রেফারী ছিলেন একেবারে নিশ্চুপ। কার্ড দেখানো দূরের বিষয়, জেরিকে বিন্দুমাত্র সর্তক করে নি রেফারী নগো ডুয়ো লান। কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজনে এতে প্রতিবাদ জানালেও তাকেও হলুদ কার্ড দেখতে হয়। রেফারির এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তে কিংস আবারো ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে গোল হজমের পাশাপাশি ম্যাচে পরাজিত হয় অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। এছাড়া রেফারীর বেশ কয়েকবার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে ভেঙেছে কিংসের মনোবল। তাই ম্যাচ শেষে দুই হাত তুলে নিরব প্রতিবাদ করেছেন কিংসের খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফরা।
তখনও বড় অসংগতি ফুটবলের জন্য অপেক্ষা করছিলো। আজ কিংস এবং উড়িষ্যা ম্যাচে হাইলাইটস প্রকাশ করে এএফসি। এএফসি তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে সেই হাইলাইটস প্রকাশ করলেও লাল কার্ড দেখানো এবং ম্যাচের সেই বিতর্কিত মুহুর্তকে হাইলাইটস থেকে সরিয়ে ফেলেন। এতেই দাঁড়িয়ে যায় বড় প্রশ্ন। কেনো এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তের ফুটেজ সরিয়ে নিলো এএফসি। এটা কি নিছকই কোনো দৈব্য ঘটনা নাকি কিংসের বিপক্ষে ঘটে যাওয়া অন্যায়কে আড়াল করতে চাইছে এএফসি?