গত ১০ ই ডিসেম্বর চকবাজার-বিকেএসপি খেলোয়াড় জালিয়াতি কান্ডে বিকেএসপিকে এককভাবে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তির আওতায় এনেছিলো বাফুফে ডিসিপ্লিনারী কমিটি। তবে তিন সপ্তাহ পেরুতে না পেরুতে ডিসিপ্লিনারী কমিটির সিদ্ধান্ত অটল থাকতে পারে নি। বাফুফের আপিল কমিটি বিকেএসপিকে সকল শাস্তি থেকে মওকুফ দিয়েছে।
খেলোয়াড় জালিয়াতি কান্ডে জড়িয়ে পড়ার কারণে গত ১০ ই ডিসেম্বর বিকেএসপিকে আগামী এক বছরের জন্য বাফুফের সকল টুর্ণামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। বাফুফে ডিসিপ্লিনারী কমিটি এই সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা।
ডিসিপ্লিনারী কমিটির এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আপিল করেছিলো বিকেএসপি। বিকেএসপির আপিলের প্রেক্ষিতে গত ২৮ শে ডিসেম্বর বাফুফের আপিল কমিটির সাধারণ সভায় সকল তথ্য উপাত্ত পুনরায় খতিয়ে দেখা হয়। পরবর্তীতে আপিল কমিটির সকলের সিদ্ধান্তক্রমে বিকেএসপির উপর লাগানো এক বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে বিকেএসপিকে নিজের কর্মকান্ডের ব্যাপারে হুশিয়ার করে দিয়েছে। এছাড়া বিকেএসপির আওতাধীন খেলোয়াড়দের ছাড়করণের ব্যাপারে আরো স্বচ্ছতার প্রয়োজন রয়েছে জানায় আপিল কমিটি। ফলে ভবিষ্যতে বিকেএসপিকে খেলোয়াড়দের ছাড়করণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি ছাড়াও ডিসিপ্লিনারী কমিটির শাস্তির হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে বিকেএসপির সিনিয়র কোচ মোঃ শাহীনুল হক। খেলোয়াড় জালিয়াতিতে জড়িত থাকার কারণ দেখিয়ে বিকেএসপির পাশাপাশি ডিসিপ্লিনারী কমিটি তাকেও এক বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ২৫ হাজার অর্থিক জরিমানা করেছিলো। তবে তথ্য উপাত্ত পুনরায় বিশ্লেষণ করে আপিল কমিটি শাহীনুল হকের উপর বর্তানো সকল শাস্তি মওকুফ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত করেছে।