বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে ফেডারেশন কাপ ফুটবলে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম জোড়া গোলে শেখ জামাল ৪-১ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। মুন্সীগঞ্জে অন্য ম্যাচে ফর্টিস ৩-১ গোলে হারায় শেখ রাসেলকে।
ম্যাচে রহমতগঞ্জের একাদশ দেখেই অবশ্য নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিলো, কাপের ম্যাচকে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছে না দলটা। চার বিদেশীর মধ্যে মাত্র একজন বিদেশী ছিলেন শুরুর একাদশে, তাও একজন ডিফেন্ডার। এছাড়াও বাইরে ছিলেন নাঈম, সুশান্তদের মধ্যে পরীক্ষিত পারফর্মাররা। মূলত লিগে ম্যাচের জন্যই তাদের বিশ্রামে রেখেছেন নতুন কোচ মিলন মোল্লা। দিন শেষে টিকে থাকাই হয়তো পুরোনো ঢাকার দলটির প্রধান লক্ষ্য।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। বাম দিক থেকে জয়নাল আবেদিন দিপুর ক্রসে লাফিয়ে ওঠে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড অগাস্টিন। ৩১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। আবারো গোলের জোগান দাতা জয়নাল আবেদীন দিপু। তার ক্রসে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ৬ গজ বক্সের কোণা থেকে উড়ন্ত বল দারুণ ভলিতে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন।
তবে বিরতির পর ঘুরে দাড়াতে চেষ্টা করে রহমতগঞ্জ। তখন নিয়মিত অধিনায়ক দাউদা সিসেকে মাঠে নামায় পুরান ঢাকার দলটি। ৬৫তম মিনিটে ম্যাচে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় রহমতগঞ্জের। দাউদা সিসের পাস ধরে অনেকটা এগিয়ে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান জুয়েল রানা। কিন্তু রাজন হাওলাদার ফাঁকা পোস্ট পেয়েও মেরে বসেন বাইরে। ৮৩ মিনিটে দাউদা সিসের জোরালো শট গোলকিপার আল আমিন ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন।
৮৫তম মিনিটে শেখ জামালকে জয়ের পথে আরও এগিয়ে নেন সাজ্জাদ হোসেন। শাকিলের কাটব্যাক থেকে ছোট বক্সের সামনে থেকে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান দাউদা সিসে। তবে শেষ সময়ে এসে ফাহিম নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করলে বড় জয় নিশ্চিত হয় ধানমন্ডির জায়ান্টদের।
অন্য ম্যাচে মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘সি’ গ্রুপে ম্যাচে শেখ রাসেলকে ৩-১ গোলে হারায় ফর্টিস। জোড়া গোল করেন পা ওমর বাবৌ; অপর গোলদাতা আমির হাকিম বাপ্পি। শেখ রাসেলের একমাত্র গোলদাতা সেলেমানি ল্যান্ড্রি।
ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে শেখ জামাল ও ফর্টিস।