প্রতিষ্ঠার ২ বছরের মধ্যে ক্লাব হতে অফিসিয়াল স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে বেশ কিছু নতুনত্ব নিয়ে এসেছে বসুন্ধরা কিংস আলট্রাস। শুরুতে আলট্রাসের ভাবধারা চেনাতে কষ্টসাধ্য হলেও প্রতিনিয়ত তাদের কার্যক্রমের ফলস্বরূপ সবার নিকট আলট্রাস এখন পরিচিত নাম।
গ্যালারিতে দেশের ফুটবল প্রাণ ফিরে পেয়েছে। জাতীয় দল ছাড়াও বসুন্ধরা কিংসের খেলায় গ্যালারিতে দর্শকদের উপস্থিতি ছিলো বেশ। ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে বসুন্ধরা কিংস আলট্রাস গ্যালারিতে কালার স্মোক ওড়ানোর সূচনা করে, যা বাংলাদেশ ফুটবলের গ্যালারিতে একটি নতুন সংযোজন। এরপর কালার স্মোকের পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে ফায়ারওয়ার্ক্স (পাইরো), ভুভুজেলা, ড্রামের মাধ্যমে সম্মিলিত উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো।
গ্যালারিতে অন্য দলের সমর্থকদেরও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে নজর কেড়েছে বসুন্ধরা কিংস আল্ট্রাস। গত ০৭ নভেম্বর ২০২৩, বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হোম ম্যাচ দেখতে মোহনবাগানের সমর্থকগোষ্ঠি “মেরিনার্স বেইজক্যাম্প – আলট্রাস মোহনবাগান” এর কিছু সদস্য এসেছিলো। বসুন্ধরা কিংস আলট্রাস তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় এবং শুভেচ্ছা বিনিময় ও উপহার সামগ্রী প্রদান করে।
এছাড়াও গত বছরের ১৪ জুলাই আবাহনী বিপক্ষে ম্যাচের নিজস্ব লোগো সংবলিত ১২০০ স্কয়ার ফিটের একটি টিফো প্রদর্শন করে বসুন্ধরা কিংস আলট্রাস, যেটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবলে সবচেয়ে বড় টিফো হিসেবে বিবেচিত।
ইউরোপীয় সমর্থকদের মতো স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে ম্যাচ দেখার নজির গড়েছে কিংস আলট্রাস। গত ১১ ডিসেম্বর এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের সর্বশেষ ম্যাচটি ভারতে হওয়ায় ভিসা জটিলতার কারনে আলট্রাস সদস্যগণ ভারতে যেতে পারে নি। প্রিয় ক্লাবকে সমর্থণ দিতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করে “লাইভ ম্যাচ স্ক্রিনিং”, যেখানে অর্ধশত সদস্য খেলাটি উপভোগ করে।
ফুটবলের আমেজ ছড়িয়ে দিতে বসুন্ধরা কিংস আলট্রাস শুধু গ্যালারিতেই থাকে এমন নয়, তারা মাঠেও খেলে থাকেন। রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জে তাদের নিজস্ব আন্ডারগ্রাউন্ড ফুটসাল টিম রয়েছে। এখন পর্যন্ত বেশ কিছু ফুটসাল টুর্নামেন্টে তারা অংশগ্রহণ করেছে।
সর্বোপরি বসুন্ধরা কিংস আলট্রাস তাদের কর্মকাণ্ডে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে , যার ফলে দেশের তরুণ ফুটবল প্রেমীদের খুব সহজেই নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। দেশে ফুটবলে গ্যালারিতে আরো নতুনত্ব আনাই এখন তাদের লক্ষ্য।