গত ৮ ই মে ‘সাফ অ-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ’-এর ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ এবং ভারত। ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে টাইব্রেকারে যায় ম্যাচটি। সেখানেও ড্র করে বসে দুই দল। নিয়ম অনুযায়ী এরপর সাডেন ডেথ পদ্ধতি অনুসরণ করার কথা থাকলেও, রেফারি হঠাৎ করে টসের মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে পরাজিত হয় এবং পরবর্তী এই পদ্ধতি নিয়ে প্রতিবাদ জানালে দুইদলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কান ম্যাচ কমিশনার ড. সিলভা জয়সুরিয়া ডিলান। চ্যাম্পিয়নের দশদিন পরে চ্যাম্পিয়নের সেই ট্রফির ছোয়া পেয়েছে চ্বাংলাদেশ অ-১৯ নারী ফুটবল দল। এছাড়া টুর্ণামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার পেয়েছেন সাগরিকা।
সাফের ফাইনালে প্রথমেই গোল এগিয়ে যায় ভারত। ম্যাচের শেষের দিকে এসে সাগরিকার গোলে সমতা ফিরে পায় বাংলাদেশ। এরপর পেনাল্টিতে গড়ায় ম্যাচটি। পেনাল্টিতে দুইদলের এগারো জনই গোল করতে সক্ষম হয়। নিয়ম অনুযায়ী টাইব্রেকারে পদ্ধতি পুনরায় আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে নি রেফারি। তিনি টসের মাধ্যমে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে চায়। অপ্রত্যাশিত এই পদ্ধতি নিয়ে বাংলাদেশ দল ছিলো পুরোপুরি অনভিজ্ঞ। আয়োজিত এই টস ভাগ্যে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
রেফারির এহেন সিদ্ধান্তে অসম্মতি জানায় বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফরা। পরবর্তীতে ম্যাচ কমিশনার এবং দুই দেশের ক্রীড়া প্রতিনিধি আলোচনায় বসেন। আলোচনার সাপেক্ষে দুই দলকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে অস্বীকৃতি জানিয়ে বসে ভারত। যদিও পরবর্তীতে কমিশনারের অনুরোধে ট্রফি গ্রহণ করে।
ভারত সফরকারী দেশ হওয়ার কারণে তখন সাফ ভারতকে টুর্ণামেন্টের ট্রফিটি দিয়ে দেয়, সাফ আরো সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দলের জন্য নতুন করে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি তৈরি করা হবে। আজ ফাইনালের দশদিন চ্যাম্পিয়নের সেই ট্রফি পেতে যাচ্ছে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। দুপুর আড়াইটায় মতিঝিলের বাফুফে ভবন সংলগ্ন মাঠে আফিদা খন্দকারের দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।
টুর্ণামেন্টে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাগরিকা। তিনি ৪ ম্যাচ খেলে ৪ গোল করেছেন। ভারতীয় দলের পূজা এবং শিবানী দেবীও সমান ম্যাচে সমান সংখ্যক গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। এছাড়া সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি টুর্ণামেন্ট সেরার পুরষ্কারও উঠেছে সাগরিকার হাতে।
গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে তার নৈপুণ্য শিরোপা ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো বাংলাদেশ রাউন্ড রবিন পদ্ধতি লীগ স্টেজে দ্বিতীয় ম্যাচে তার গোলে জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এছাড়া ফাইনাল ম্যাচে তার গোলেই সমতা ফিরে পেয়েছিলো বাংলাদেশ, যার ফলে বাংলাযৌথ চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করে।